বইমেলাতে নতুন বই নিয়ে কথাসাহিত্যিক আহমেদ মওদুদের সাক্ষাৎকার

আহমেদ মওদুদ এর বই ‘বিদ্যাসাগর’
অমর একুশে গ্রন্থমেলা (২০২০)তে প্রকাশিত হয়েছে আহমেদ মওদুদ এর বই ‘বিদ্যাসাগর’।গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি প্রকাশ করেছে মনদুয়ার। অর্থবহ প্রচ্ছদ করেছেন নির্ঝর নৈঃশব্দ্য। পরিবেশক:সংহতি প্রকাশন, পাওয়া যাচ্ছে ৫২১-৫২২ নং স্টলে।

বইমলাতে নতুন বই প্রকাশকালের অনুভূতি এবং বর্তমান সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আহমেদ মওদুদ কথা বলেছেন গ্রন্থগত ডট কম এর সঙ্গে।
====================


প্রশ্ন: সম্প্রতি আপনার বই প্রকাশিত হলো। আপনার অনুভূতি জানতে চাই।

উত্তর: বই প্রকাশ সব সময়ের জন্যই আনন্দের। এটা খুব উপভোগ করি। লেখক, তিনি যে ধারারই হয়ে থাকেন না কেন, চূড়ান্ত লক্ষ্যই থাকে বই প্রকাশের। এর ভেতর দিয়েই মূলত পাঠকের সাথে লেখকের একটা আত্মিক যোগাযোগ গড়ে ওঠে। যেটা একই সঙ্গে প্রভাবিত করে লেখক এবং পাঠক উভয়কেই।

প্রশ্ন: বই প্রকাশের সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন কিভাবে?

উত্তর: বিদ্যাসাগর বইটির পান্ডুলিপি তৈরির জন্য প্রকাশক দুই বছর আগে থেকেই অনুপ্রাণিত করে আসছিলেন। মানে বইটি ২০১৯ সালের অমর একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময় ও সুযোগের অভাবে আমি পান্ডুলিপি তৈরি করতে পারিনি। এবার পান্ডুলিপিটা প্রস্তুত করা গেল। বইও প্রকাশ হয়ে গেল। এটা মূলত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী গ্রন্থ। তবে কিশোর-তরুণদের উপযোগী করে লেখা।

প্রশ্ন: বইটি প্রকাশ করতে প্রকাশক নিয়ে জটিলতায় পড়তে হয়েছিল কি?

উত্তর: না না, জটিলতা নয় বরং প্রকাশকের আন্তরিকতাতেই বইটি প্রকাশ হয়েছে। উপরন্তু আমার অলসতার কারণেই বই প্রকাশে এক বছর বিলম্ব হয়েছে।

প্রশ্ন: নিজের লেখার প্রতি আত্মবিশ্বাস কতটুকু?

উত্তর: কেবলমাত্র লেখার ক্ষেত্রেই আমার আত্মবিশ্বাস সর্বোচ্চ পর্যায়ের। এছাড়া বাকি সব বিষয়েই আত্মবিশ্বাস শূন্যের পর্যায়ে।

প্রশ্ন: অনেকে বলেন লেখার ক্ষেত্রে প্রস্তুতি প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আপনার প্রস্তুতির কথা জানতে চাই।

উত্তর: প্রস্তুতি বলতে আমি সময় এবং সুযোগের বিষয়টাকেই বুঝে থাকি। অর্থাৎ লেখার টেবিলে বসতে পারার সুযোগ। এছাড়া আমার কাছে প্রস্তুতি শব্দের আলাদা কোনো অর্থ নেই।

প্রশ্ন: শিল্প নাকি পাঠক, আপনার দায়বদ্ধতা কার কাছে?

বোধগম্য কোনো বিষয়ও শিল্পের বাইরে নয়
উত্তর: যেহেতু মানুষের জন্যই শিল্প আবার শিল্পই মানুষের রুচিবোধ তৈরি করে সেহেতেু দায়টা উভয়ের কাছেই। তবে যেহেতু এই বইটি মূলত কিশোর-তরুণদের উপযোগী করে লেখা সেহেতু তাদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। অর্থাৎ বইয়ের ভাষা তাদের বোধগম্য করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে বোধগম্য কোনো বিষয়ও শিল্পের বাইরে নয়।

প্রশ্ন: একজন পাঠক হিসেবে যখন বইটি দেখছেন/পড়ছেন, তখন বইটিকে কেমন মনে হচ্ছে?

উত্তর: সত্য হলো এই, বইটি এখনো হাতে পাইনি। তবে আশা করি প্রত্যাশা পূরণে ভূমিকা রাখবে।

প্রশ্ন: অধিকাংশ লেখক বইমেলাকে কেন্দ্র করে বই প্রকাশ করে, বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখেন?

উত্তর: বই সারা বছরই প্রকাশ হওয়া উচিত। যেহেতু বইমেলা একটা উৎসব সেহেতু উৎসবে অংশগ্রহণ করতে লেখক মাত্রই আগ্রহী থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। আর কেবলমাত্র লেখক নন প্রকাশকরাও মূলত বই প্রকাশের জন্য বইমেলাকেই উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন।

মতামত:_

0 মন্তব্যসমূহ