'গ্রন্থগত' ওয়েবসাইট যে বিন্যাসরীতি মেনে বইরিভিউ প্রকাশ করতে চায়
১) শিরোনাম:
আপনার পাঠানো বই আলোচনা, রিভিউ, বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন, মতামত জাতীয় রচনার একটি শিরোনাম থাকতে হবে।
শিরোনামে 'বইয়ের নাম' ও বই লেখকের নাম' থাকা বাঞ্ছনীয়।
শিরোনাম রচনায় সৃজনশীল শৈলী প্রয়োগ করে 'আলোচকের নাম' সংযোজন করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে শিরোনাম তৈরি করা যেতে পারে।
যেমন:
- ক) 'বইয়ের নাম' - 'লেখকের নাম'
- খ) 'লেখকের নাম' - 'বইয়ের নাম'
অথবা:
এভাবে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে রচনাটির নাম রাখা যেতে পারে।
উল্লেখ্য যে, এমন পরিস্থিতিতে অথবা প্রয়োজন মনে করলে আপনার রাখা নাম পরিবর্তন করে 'গ্রন্থগত' কর্তৃপক্ষ নিজের বিবেচনায় যেকোন শিরোনাম তৈরি করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
- ক) আলোচকের ভাষ্যে লেখক রচিত বই 'নাম'
- খ) লেখক লিখিত বই 'নাম' আলোচনা করলেন 'আলোচক'
এভাবে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে রচনাটির নাম রাখা যেতে পারে।
উল্লেখ্য যে, এমন পরিস্থিতিতে অথবা প্রয়োজন মনে করলে আপনার রাখা নাম পরিবর্তন করে 'গ্রন্থগত' কর্তৃপক্ষ নিজের বিবেচনায় যেকোন শিরোনাম তৈরি করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
অর্থাৎ, বইয়ের নাম ও লেখকের নামবিহীন কোন শিরোনাম গ্রহণযোগ্য নয়। আলোচকের নাম শিরোনামে না থাকলেও আলোচনার সূচনায় অবশ্যই উল্লেখ করা হবে।
২) প্রচ্ছদ:
প্রচ্ছদচিত্রটি অবশ্যই সরাসরি সামনে থেকে হতে হবে। কোনরকম অলংকরণ বা ব্যাকগ্রাউন্ডযুক্ত প্রচ্ছদচিত্র কাম্য নয়।
৩) বই আলোচনার প্রধান অংশ:
- ক) কীভাবে বই আলোচনা করতে হয় তা জানতে পড়ুন কীভাবে বইরিভিউ লিখতে হয়?
- খ) আরো বিস্তারিত জানতে 'আলোচনাসূত্র' বিষয়ের রচনাগুলো একবার দেখে নিতে পারেন।
- গ) উল্লেখযোগ্য বক্তব্য, আকর্ষণীয় বাক্য, উপদেশ বা আপনার ভাল লেগেছে এমন কোন এক বা একাধিক উদ্ধৃতি বই আলোচনার মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়।
- ঘ) সূচিপত্র থাকলে তা সম্পূর্ণ বা আংশিক উল্লেখ করুন।
- ঙ) বইতে থাকা কোন ছক বা ছবির নমুনা থাকতে পারে।
- চ) বইয়ের শেষে কোন 'নির্ঘন্ট' বা 'গ্রন্থতালিকা' থাকলে তা উল্লেখ করা উচিত।
৪) গ্রন্থপঞ্জী:
- ক) গ্রন্থপঞ্জী বলতে কী বোঝায় তা জানতে পড়ুন গ্রন্থপঞ্জীঃ সংজ্ঞা, উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
- খ) আপনার লেখার সাথে নিচের তথ্য কয়েকটি অবশ্যই পাঠাতে হবে:-
- বইয়ের নাম (বাংলা ও ইংরেজি)
- লেখকের নাম (বাংলা ও ইংরেজি)
- আলোচকের নাম
- বইয়ের ধরন
- প্রচ্ছদশিল্পীর নাম
- প্রকাশনীর নাম ও দেশ
- প্রকাশকাল
- পৃষ্ঠাসংখ্যা
- মূল্য
- ISBN
৫) মৌলিকতা:
আপনার পাঠানো লেখাটি মৌলিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। আমরা বেশিরভাগ রচনা প্লাজিয়ারিজম পরীক্ষা করে নেই। অর্থাৎ আপনার লেখাটির অনন্যতার পাশাপাশি আপনার নিজের সম্মান রক্ষা করার ভার আপনার নিজেরই।
৬) যদি কোথাও পূর্বে প্রকাশিত হয়ে থাকে:
- ক) আপনার লেখাটি কোন মুদ্রণ মাধ্যমে পূর্বে প্রকাশিত হলে সমস্যা নেই। অনলাইনে পুনঃপ্রকাশ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে যে পত্রিকায় পূর্বে মুদ্রিত হয়েছে, তার সম্পূর্ণ নাম, প্রকাশকাল, স্থান উল্লেখ করা উচিত। যথাযথ স্বীকারোক্তি প্রকাশ আপনার মানসিক সৌন্দর্যের পরিচয় দেবে।
- খ) আপনার লেখাটি পূর্বে অন্য কোন ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়েছে কি? যদি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পুনঃপ্রকাশ করতে আমরা দ্বিধা বোধ করি। গুগলের নিয়ম (এলগরিদম) অনুযায়ী একই লেখা অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে থাকলে পরে প্রকাশিত লেখাটিকে কপি বা নকল বলে ধরে নেয়া হয়। যা ওয়েবসাইটের জন্য দুর্নাম বয়ে আনে এবং সার্চ ফলাফলে প্রভাব ফেলে।
লেখাটি আপনার নিজের হলেও গুগলের নিয়ম আমরা মেনে চলতে ইচ্ছুক। আপনি যদি কোন ওয়েবসাইটে লেখাটি ইতঃপূর্বে প্রকাশ করে থাকেন, তাহলে দয়া করে অন্তত ৫০ ভাগ পরিবর্তন করে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। ভূমিকা, মাঝের কয়েকটি অনুচ্ছেদ এবং উপসংহারের বাক্যগুলো পরিবর্তন করে দিন। পূর্বে প্রকাশিত লেখার লিংক উল্লেখ করুন।
* কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে বা আরও কোন প্রশ্ন থাকলে এই লিংকে থাকা ফরম ব্যবহার করে আমাদের জানাতে পারেন।
ধন্যবাদ