সাহিত্যের আড়াল চিনতে পড়ুন - 'সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী' রচিত প্রবন্ধের বই "সাহিত্যের অন্তর্জগত"

সাহিত্যের অন্তরাল চিনতে পড়ুন - 'সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী' রচিত প্রবন্ধের বই "সাহিত্যের অন্তর্জগত"

সাহিত্যের বহির্জগত চোখে পড়ে, আড়ালে থেকে যায় অন্তর্জগত। জীবনের সহিত যা, তাই সাহিত্য। সাহিত্য মানুষকে, সমাজকে দিক নির্দেশনা দেয়। পথ দেখায় অভিগম্যের। সাহিত্যের অন্তরালে যা কিছু প্রভাবক বা প্রেরণাদায়ক তার স্বরূপ অন্বেষন করেছেন প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। নিজের অবস্থান ভূমিকা'তেই পরিষ্কার করে দেন। তিনি জানান-

সাহিত্যকে দ্বিতীয় ভুবন বলার প্রথা ও যৌক্তিকতা দুটোই থাকে। ওই দ্বিতীয় ভুবনের ভেতরে একটি প্রাথমিক ভুবন থাকে। সেটি হচ্ছে সমাজ। সমাজেই মানুষের বসবাস, সাহিত্যের মানুষেরাও সামাজিক প্রাণী বটে। সমাজে চিন্তা ও রাজনীতির বিভিন্ন ধারাপ্রবাহ সর্বদাই বিদ্যমান। সাহিত্যের যাঁরা স্রষ্টা তাঁরাও সামাজিক ভুবনেরই অধিবাসী। এই বইয়ের আটটি প্রবন্ধে সাহিত্যের সঙ্গে সমাজের ওই সম্পর্কে নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।

 

সাহিত্যের যে সব দিক লেখকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, সেগুলো পাওয়া যাবে সূচিপত্রে। তাই সূচিপত্রের দিকে একবার দৃষ্টিপাত করা দরকার।

  • এ্যারিস্টটলের কাব্যতত্ত্ব
  • মহাকাব্যের কথা
  • নাটকের গণতান্ত্রিকতা
  • উপন্যাসের উদ্ভব ও প্রকৃতি
  • মনীষার সময় ও সুযোগ
  • সাহিত্য ও রাজনীতি
  • সাহিত্যে রাষ্ট্রবিরোধিতা
  • সাহিত্যের দর্শনানুসন্ধান

"এ্যারিস্টটলের কাব্যতত্ত্ব"  রচনায় এ্যারিস্টটলের 'রাজনীতি' প্রবন্ধের আলোকে লেখক সাহিত্যের অন্তরালে থাকা প্রভাবককে চিনতে চেয়েছেন। সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের প্রতি প্লেটোর ছিল বিরূপ ধারণা। প্লেটোর ছাত্র এ্যারিস্টটল এই মত গ্রহণ করেন নি।

এ্যারিস্টটল কাব্যশাস্ত্রকে নীতিশাস্ত্রের সর্বগ্রাসী শাসন থেকে মুক্ত করেছিলেন। মনে করেন -

…  বিষয়বস্তুর গুণাগুণ দিয়ে কাব্যের উৎকর্ষ-অপকর্ষ নির্ধারিত হয় না; কাব্যের উৎকর্ষ নির্ভর করে অনুকরণ – দক্ষতার ওপর। অর্থাৎ কাব্যের মানদণ্ডে। দেখতে হবে কবি কোন ধরনের আনন্দ আমাদেরকে দিতে চাচ্ছেন, তারপরে প্রশ্ন উঠবে সেই বিশেষ ধরণের আনন্দদানে তাঁর দক্ষতা কতটা। পৃষ্ঠা- ২২


এ্যারিস্টটল ট্রাজেডিকে শ্রেষ্ঠতম সাহিত্যিক রূপকল্প বলে মনে করতেন। তার মতে ট্র্যাজেডি মহাকাব্যের তুলনায় মহত্ত্বর। এ্যারিস্টটল সাহিত্যকে বুদ্ধিভিত্তিক অবস্থান থেকে সমালোচনা করতেন। -


সাহিত্যপাঠে তাঁর নিজের ব্যক্তিগত শিরহণকে(শিহরণ) পৌঁছে দিতে চান না, তাঁর উদ্দেশ্য সাহিত্যের বুদ্ধিবাদী, বিষয়মুখ বিশ্লেষণ। পৃষ্ঠা - ২৯

 

“মহাকাব্যের কথা” প্রবন্ধে মহাকাব্যের পরিচিতি পাই। মহাকাব্য কত বড়, কী তার বৈশিষ্ট্য, সমাজের কোন ধারণা এর প্রধান প্রভাবক এরকম সবকিছুর প্রতি লেখকের আগ্রহ। বাল্মিকী, ব্যাস, হোমার, মিল্টন, ড্রাইডেন, ফেরদৌসি প্রমুখকে বিশ্লেষণ করেছেন। তাদের রচনার আলোকেই সমাজ, সংস্কৃতি, মানুষের মননশীলতার চিত্র এঁকেছেন।

প্রসঙ্গক্রমে ট্র্যাজেডির সাথে মহাকাব্যের পার্থক্য লেখক উল্লেখ করেছেন। তিনি মনে করেন--

 

ট্র্যাজেডির সঙ্গে মহাকাব্যের মৌলিক তফাৎ এইখানে, ট্র্যাজেডি জীবনের একটি খন্ড অংশের ছবি ফুটিয়ে তোলে, আর মহাকাব্য চায় ছবি দেবে সমগ্র জীবনের। পৃষ্ঠা- ৩৫

 

“নাটকের গণতান্ত্রিকতা” প্রবন্ধ নাটকের সাথে রাষ্ট্রের যে সম্পর্ক তার পরিচয় তুলে ধরেছেন। তিনি সরাসরি জানান –


… নাটককে যতই কৃত্রিম বলা হোক না কেন একেবারে অতিনাটকীয় না হলে সে চরিত্রগতভাবে স্বাভাবিক। পৃষ্ঠা- ৪১

 

প্লেটো যে নাটককে পছন্দ করতেন না সে কথা সবাই জানে। কিন্তু এর কারণ দার্শনিক মনে হলেও আসল কারণ অন্য। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মনে করেন এর কারণ রাজনৈতিক।


প্লেটো জানেন মানুষের মনে আছে নানা রকমের অনুভূতি, সেগুলোকে জাগিয়ে দিলে মানুষ শ্রেণীবিভাজন মানতে চাইবে না, ডিঙিয়ে যেতে চাইবে বিভাজনের রেখা। পৃষ্ঠা - ৪২

 

আলোচনার ধারাবাহিক প্রসঙ্গে সংস্কৃত নাটক, এলিজাবেথীয় নাটক, বাংলা নাটক নিয়েও লেখক আলোচনা করেন। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কালিদাস, শেকসপীয়র, মধুসূদন, সফোক্লিস, বার্ণাড শ, ইবসেন প্রমুখের নাটকের অন্তরাল অন্বেষণ করেন। উৎসাহী পাঠক শুধুমাত্র এই প্রবন্ধটি পাঠ করেই ইউরোপের নাটকের উপর একটি প্রাথমিক চিত্র দেখতে পাবেন।

নিজের অবস্থান থেকে সাহিত্যের সাথে বিভিন্ন সামাজিক প্রকরণের সম্পর্ক নির্ধারণ করেছেন। কখনও সামাজিক প্রকরণের সম্পর্ক নির্ধারণ করেছেন; কখনও বর্ণনাত্মক, কখনও অপরাপর মতামতের নিরিখে সাহিত্যকে মূল্যায়ন করেছেন। অন্যদের সাথে সম্পর্কে বৈশিষ্ট্য নিরূপণ করেছেন। সাহিত্যের সাথে রাজনীতি ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক মূল্যায়ন তার প্রধান আগ্রহের বিষয়। এই বইয়ের প্রত্যেকটি রচনাতে এর ছাপ পাওয়া যায়।

“মনীষার সময় ও সুযোগ” একটি অভিনব প্রবন্ধ। সমাজে মনীষীগণের প্রত্যেকের মধ্যে যে বৈচিত্র্য, তার উৎস বুঝতে চেয়েছেন। পারস্পরিক পার্থক্যের ক্ষেত্রে সময় ও পরিবেশ কীরকম প্রভাব রাখে ও তার অভিঘাত লেখকের চিন্তায় কীরকম পরিবর্তন করে তা আলোচনা করেছেন। শেকসপীয়র এর সাথে সার্ভেন্টিজ এর তুলনা করেন। দুইজন দুই সময়ের। শ্রেণীগত অবস্থান প্রায় একই হলেও দুজন আলাদা ভূপ্রকৃতিগত পরিবেশে বাস করতেন।

একইভাবে তুলনা করেন ড. জনসন (১৭০৯-৮৪), দিদেরো (১৭১১-৮৪) ও ভারতচন্দ্র (১৭১২-৬০) এই তিনজনের মধ্যে। লেখক বলেন-


এঁরা তিনজনেই ছিলেন উচ্চশিক্ষিত, ভাষা ব্যবহারে অত্যন্ত সচেতন। রচনারীতিতে কৌতুক ছিল তাঁদের, ছিল বাকবৈদগ্ধ। রূচিতে নাগরিক তাঁরা তিনজনেই। ভূমিকা কেবল সাহিত্যসেবার ছিল না, ছিল বুদ্ধিজীবীর। তাঁদের অনেক কথাই প্রবাদে পরিণত-- এমন বিচক্ষণ ছিল বোধশক্তি, সতর্ক ছিল পর্যবেক্ষণ। তিন শহরের মুখপাত্র তাঁরা- জনসন লন্ডনের, দিদেরো প্যারিসের, ভারতচন্দ্র কৃষ্ণনগরের। জন্ম তাঁদের শহরে নয়, শহরের বাইরে, মফস্বলে, কিন্তু শহরে কেটেছে তাঁদের কর্মজীবন এবং তাঁদের পরিচয় প্রায় অভিন্ন হয়ে আছে শহরের তিনটির পরিচয়ের সঙ্গে। চমকে দিয়েছেন তাঁরা মানুষকে। পৃষ্ঠা - ৬৫

 

ড. জনসন অভিধান সংকলন করেছেন। তার ভাবনাকাঠামো সম্পর্কে লেখক বলেন-


সাহিত্যবিপ্লবকে জনসন রীতিমতো ভয় করতেন, সমাজবিপ্লবে তাঁর ছিল আতঙ্ক। এই ভীতিও নিজস্ব নয়, এ তাঁর পরিবেশেরই। সাহিত্য নিয়ে কোনো প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে না, এই ছিল বক্তব্য। - পৃষ্ঠা - ৬৬


দিদেরো সম্পর্কে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মনোভাবে বেশ খোলামেলা। তিনি বলেন-


দিদেরোর সাংস্কৃতিক অবস্থান অনেক দিক দিয়েই জনসনের বিপরীত প্রান্তে। তিনি ফরাসি দেশের সেই মধ্যশ্রেণীর প্রতিনিধি যে শ্রেণী কাজ করছিল ফরাসি বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করবার জন্য। জনসন ও ভারতচন্দ্র দু'জনের তুলনাতেই দার্শনিকভাবে তিনি অধিকতর অগ্রসর, বহু কাজে ব্যাপ্ত ছিলেন সারা জীবন। সম্পাদক, লেখক, নাট্যকার, শিল্প-সমালোচক, অনুবাদক-জনসনের মতোই বহুবিধ তাঁর পরিচয়। কিন্তু জনসন যেখানে নিয়োজিত ছিলেন বিদ্যমান ব্যবস্থাকে রক্ষার দায়িত্বে, দিদেরো সেখানে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ও জগৎকে ব্যাখ্যা করেছেন দার্শনিকভাবে এবং সেই ব্যাখ্যা পৌঁছে দিতে চেয়েছেন পাঠকদের কাছে। তাঁর সমসাময়িক রুশো ও ভলতেয়ারের মধ্যে প্রথম জন ছিলেন রোমান্টিক, দ্বিতীয়জন অভিজাত, দিদেরোকে বলতে হয় গণতন্ত্রী। পৃষ্ঠা- ৬৭

 

ভারতচন্দ্র সম্পর্কেও তিনি মোহহীন হয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন। অনায়াসে বলেন-


জনসনের উক্তির মতো ভারতচন্দ্রেরও অনেক উক্তি প্রবাদে পরিণত হয়েছে। যাতে বোঝা যায় কেমন তীক্ষ্ণ ছিল তাঁর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ও শিল্পদৃষ্টি। 'সে কহে বিস্তর মিছা যে কহে বিস্তর'- এ তিনি বলেছেন এবং অল্পকথায় বহু কথা বলে গেছেন তিনি। 'অরণ্যে রোদনে কিবা ফল', ‘জননী জন্মভূমি স্বর্গের গরিয়সী', ‘বুঝ লোক যে জান সন্ধান', ‘যার কর্ম তার সাজে অন্য লোকে লাঠি ভাজে', ‘হায় বিধি পাকা আম দাঁড়কাকে খায়', ‘ভাবিতে উচিত ছিল প্রতিজ্ঞা যখন'-- তাঁর এধরনের উক্তি বাংলা ভাষার স্থায়ী বাকবিধিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু বৈদগ্ধকে সমন্বিত করে তিনি কোনো একটি বিশেষ জীবনদৃষ্টি গড়ে তুলতে পারেন নি, হয়তো চানও নি। তাঁর জগতে নানাবিধ ভূতপ্রেতের সার্বক্ষণিক উৎপাত বিদ্যমান! তাদের জ্বালাতে অস্থির তিনি। পৃষ্ঠা- ৭০

 

মণীষীদের জীবনদর্শনের এমন ভিন্নতা স্বাভাবিক। এর প্রেক্ষাপট প্রত্যকের জন্য আলাদা। প্রত্যেকেই নিজের সময়, সংস্কৃতি, আইন, রীতি, রূচির দ্বারা প্রভাবিত। তাই প্রত্যেকে নিজ বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। নিজ সময়, সমাজ, সংস্কৃতির যথাযথ প্রতিনিধি। তাদের বুঝতে এই বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন-


মনীষী রহস্যময় ঠিকই, কিন্তু স্থান-কাল-নিরপেক্ষ নয়। মনীষী যাঁরা তারা প্রাপ্ত সুযোগের সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেন এবং নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেন অন্যদের জন্য। পরিবেশের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কটা দ্বান্দ্বিক। তাঁদের পরিবেশকে যদি বুঝে নিই, তবে তাঁদের অবদানকে বোঝা সহজ হয়, তাঁদের পারস্পরিক পার্থক্যের একটি ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। পৃষ্ঠা- ৭০

 

সুখ্যাত চিন্তাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সাহিত্যকে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে, ভিন্ন আঙ্গিকে বুঝতে চেয়েছেন। নিজস্ব দার্শনিক অবস্থানের ভিত্তিতে সাহিত্যের বিভিন্ন উপাদানের গাঠনিক বৈশিষ্ট্য জানতে চেয়েছেন। অধীত বিদ্যার আলোকে সাহিত্যের উপাদানগুলোকে বিশ্লেষণ করেছেন। বের করে আনতে চেয়েছেন সাহিত্যের অন্তর্জগৎকে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বইয়ের নামকরণ সার্থক। লেখক নিজের ভাবনাকে কোন জটিল বাক্য দিয়ে নয়, সহজ সাবলীল ভাষাভঙ্গি দিয়ে উপস্থাপন করেছেন। সমাজ, দর্শন, বিজ্ঞান, রাজনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদির আলোকে আদলে সমাজকে ব্যাবচ্ছদ করেছেন। জানতে চেয়েছেন সাহিত্যের গাঠনিক চেতনার স্বরূপ। উন্মোচন করতে চেয়েছেন "সাহিত্যের অন্তর্জগত"।

এই জটিল যাত্রায় লেখক উৎসাহী পাঠক পাবেন। পাঠসঙ্গী এই পাঠকগণ সাহিত্যকে লেখকের অবস্থান থেকে বুঝে নেবেন। সহজ ভাষা, সরল উপস্থাপন সেক্ষেত্রে তাদের সহায়ক হবে। অন্তর্জগতের একটা ভঙ্গি প্রচ্ছদে ফুটে উঠেছে। সেজন্য প্রচ্ছদশিল্পী মোবারক হোসেন লিটন একটি বিশেষ ধন্যবাদ পেতেই পারেন। বোর্ড বাঁধাই হওয়ায় বইটি বেশ শক্তপোক্ত। সাদা অফসেট কাগজে ছাপানো বই বেশ স্থায়ী হবে। কালের ধুলো বইয়ের গায়ে দাগ বসাতে পারবেনা।

সাহিত্যের বৈচিত্র্য জানতে আগ্রহী পাঠকের এই বই পড়া উচিত। একজন নবীন পাঠক এই একটিমাত্র বই পাঠে প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ভারতীয় ও ইউরোপীয় সাহিত্যকীর্তি সম্পর্কে জানতে পারবে। সারাংশ পড়তে পারবে। সেই সাহিত্যগুলোকে একটি বিশেষ রীতিতে পর্যবেক্ষণ শেষে বিশ্লেষণভঙ্গি বুঝতে পারবে। সাহিত্য বিশ্লেষণে আলাদা একটি ভাবনার সাথে তাদের পরিচয় ঘটবে।

+~+~+~+~+~+~+

সাহিত্যের অন্তর্জগত
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী


প্রচ্ছদ: মোবারক হোসেন লিটন
প্রকাশনী: রোদেলা প্রকাশনী, ঢাকা।
প্রথম প্রকাশ: ২০১৫
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৯৬
মূল্য: ১৮০.০০ টাকা
ISBN: 978-984-91085-4-2

মতামত:_

0 মন্তব্যসমূহ