বইমেলায় প্রকাশিত আল ইমরান সিদ্দিকী'র লেখা কবিতার বই "গোধূলির প্যানোরামা" নিয়ে সাক্ষাৎকার

আল ইমরান সিদ্দিকী'র লেখা কবিতার বই "গোধূলির প্যানোরামা"
এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে আল ইমরান সিদ্দিকী'র লেখা কবিতার বই "গোধূলির প্যানোরামা"। প্রকাশ করেছে বৈভব প্রকাশনী। বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে ৭১৮ নং স্টলে।

লেখক এই বই লেখার প্রারম্ভিক নানদিক ও সাহিত্য সম্পর্কে নিজের বহুমাত্রিক চিন্তাভাবনা অকপটে উন্মোচন করেছেন গ্রন্থগত.কম এর কাছে।
===============

❑ সম্প্রতি আপনার বই প্রকাশিত হলো৷ আপনার অনুভূতি জানতে চাই৷

’গোধূলির প্যানোরামা’ আমার তৃতীয় কবিতার বই। ফলে, কোনো উচ্ছ্বাস কাজ করে না; এখন এটাকে অভ্যস্ততা বলে মনে হয়। তবু নতুন বই হাতে আস্‌লে ভালো লাগে।

❑ বই প্রকাশের সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন কীভাবে?

 আমার হাতে দুইটি পাণ্ডুলিপি ছিল। মনে হলো একটা দিয়ে বই করে ফেলাই ভালো। ফেলে রাখলে নানা রকম বিপত্তি ঘটতে পারে। পরে আর ওই পাণ্ডুলিপি দিয়ে বই করতে ইচ্ছা নাও হতে পারে; সে-রকম কিছু হোক, তা আমি চাই না। কারণ, আমার কবিতাগুলি আমার কাছে দিনলিপির মতো; ছেদ আমার ভালো লাগবে না। তাছাড়া পান্ডুলিপি হাতে থাকলে নতুন লেখা আস্‌তে চায় না।

 ❑ বইটি প্রকাশ করতে প্রকাশক নিয়ে জটিলতায় পড়তে হয়েছিলো কি?

সত্যি বলতে, আমি ২০১৯ এর মেলায় বইটি করতে চেয়েছিলাম। ভেবেছি, হাতে যা-কিছু আছে, তা দিয়ে আরেকটা বই করে দেশান্তরে চলে যাই। কিন্তু গড়িমসির কারণে বই করা হয়নি। দু’জন প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। প্রথম জনের সাথে ঠিকঠাক যোগাযোগ রক্ষা করা হয়নি।  দ্বিতীয় জনের সাথে যোগাযোগ করতে দেরি করে ফেলেছি। ফলে বই করা হয়নি।

❑ নিজের লেখার প্রতি আত্মবিশ্বাস কতটুকু?

লেখাটা আমার পেশা নয় বা পেশা হিসেবে নেয়ার কোনো সুযোগও নাই। ফলে আত্মবিশ্বাসের প্রশ্নও নাই। যতক্ষণ ভালো লাগবে, ততক্ষণই লিখবো। ভাষা নিয়ে আপনমনে খেলে যাওয়ার আনন্দের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের কোনো প্রশ্ন নাই। 

❑ অনেকে বলেন লেখার ক্ষেত্রে প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আপনারা প্রস্তুতির কথা জানতে চাই।

আমি যা শিখি ও লিখি, আনন্দ থেকেই শিখি ও লিখি
পেশাদার লেখকদের প্রস্তৃতির প্রয়োজন হতে পারে, আমার নাই। আমি যা শিখি ও লিখি, আনন্দ থেকেই শিখি ও লিখি। একটা সময় ‘প্রস্তুতি’ শব্দটাকে আমি গুরুত্ব দিতাম বটে; তখন লেখক হিসেবে নিজেকে একটা উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল। ভাষার ব্যাকরণ ও ছন্দ, ধ্রুপদী সাহিত্য সহ সব শাস্ত্রের বই পড়াটা দরকার মনে করতাম।  কবিতার খুঁটিনাটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখা দরকার বলেও মনে করতাম।– সে-সব দিন কবে চলে গেছে! এখন যা ইচ্ছা, লিখে যাই।

❑ পাণ্ডুলিপি গোছানোর ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন?

পুরো বইটি মিলে যেন একটা কবিতা, একটা জার্নি হয়ে উঠতে পারে, সেটাই মাথায় রেখেছি। তবে আমি খুব বেশি কবিতা  লিখি না বলে, খুব বেশি কবিতা বাদও দিই না।

❑ শিল্প না কি পাঠক, আপনার দায়বদ্ধতা কার কাছে?

কারও কাছেই না। আমার ভালো থাকতে চাওয়ার কাছে আমি হয়তো কিছুটা দায়বদ্ধ। তবে এটা বলাও মনে হয় ঠিক হলো না। কারণ, অবিমৃশ্যকারিতা আছে আমার মধ্যে।

❑ অধিকাংশ লেখক বইমেলাকে কেন্দ্র করে বই প্রকাশ করে, বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?

বই-বিপণন-ব্যবস্থা খুব একটা ভালো নয় বাংলাদেশে। ফলে, মেলার সময় বই করলে সুবিধা হয়। বই বছরের যে-কোনো সময় বের হতে পারে। বই তো আর নিত্যপ্রয়োজনীয় বস্তু নয়।

মতামত:_

0 মন্তব্যসমূহ