প্রসঙ্গ: গ্রন্থ ও গ্রন্থাগার - সমর পাল | আলোচক: সুমনা রানী দাস

প্রসঙ্গ: গ্রন্থ ও গ্রন্থাগার - সমর পাল বইয়ের প্রচ্ছদ


মনুষ্য জীবনের যেটুকু আয়ুষ্কাল, যে স্বল্প সময়টা মানুষ পৃথিবীতে বেঁচে থাকবার সৌভাগ্য লাভ করে, তাতে দেহ, মন ও আত্মার খোরাক মেটাতে পারে এমন বই আমাদের জীবনে বড় প্রয়োজনীয়। আর বই যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে মানুষ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখতে, তার অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে তার বহু ব্যাখ্যা জ্ঞানী-বিজ্ঞানী-পন্ডিতেরা তাদের অমূল্য সৃষ্টিতে দেখিয়েছেন। বই পাঠের, বই সংগ্রহের, বই উপলব্ধি করবার, বই আত্মস্থ ও বইয়ে নিহিত জ্ঞানের গভীর অতলে ডুব দেয়ার মাধ্যমে নিজেকে আলোড়িত করবার অত্যন্ত গুরুত্ব আছে বলেই পৃথিবীতে লক্ষ্য লক্ষ্য, কোটি কোটি বইয়ের সৃষ্টি হয়েছে! যার স্বচ্ছ, সুস্পষ্ট, দিবাকরের আলোর মত উজ্জ্বল ও শক্ত ধারণা মিলবে সমর পালের প্রসঙ্গ গ্রন্থ ও গ্রন্থাগার বইটি পাঠের মাধ্যমে। বইটির সংমিশ্রণ সাধিত হয়েছে যে সংগ্রহের মাধ্যমে তা হলো-


  • হরপ্রসাদ শাস্ত্রী- লাইব্রেরি, লাইব্রেরি আন্দোলন ও শিক্ষা বিস্তার
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- লাইব্রেরি
  • নগেন্দ্রনাথ বসু- পুস্তক ও পুস্তকালয়
  • প্রমথ চৌধুরী- বই পড়া
  • সুকুমার রায়- লাইব্রেরি
  • মোতাহের হোসেন চৌধুরী- লাইব্রেরি
  • সৈয়দ মুজতবা আলী-বই কেনা
  • বিনয় ঘোষ- ফুটপাতের বই, বই চোর
  • আবদুল হকে- আমার গ্রন্থাগার
  • সমর পাল- দিব্যজ্ঞান লাভে বই অনন্য।


লাইব্রেরি- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী


লেখক এখানে তুলে ধরেছেন লাইব্রেরির ইতিহাস, যখন ছিলো না কোনো কাগজ, ছিলো না লিখবার কলম। কিন্তু তবু ছিলো জ্ঞান আহরণের, মনের ভাব বুঝতে চাওয়ার আকুতি। যীশু খ্রিষ্টের জন্মেরও হাজার হাজার বছর পূর্বের বইয়ের ইতিহাস, গ্রীসের সেই বড়ো বড়ো লাইব্রেরি, সেই অষ্টাদশ শতকে নিনিভা নগরে প্রায় তিরিশ ফুট মাটি খুঁড়ে যে প্রকাণ্ড লাইব্রেরির সন্ধান পাওয়া যায় (যাতে ছিল হাজার হাজার অভিধান, মহাকাব্য, জ্যোতির্বিদ্যার বই ইত্যাদি), রোমের লাইব্রেরি, আলেকজান্ডার এর গুরু এরিস্টটল এর সেই প্রকাণ্ড লাইব্রেরি, প্রত্যেক রাজার কেল্লায় যে পুথিখানাগুলো ছিলো তার সন্ধান মেলে এই লেখনীতে।

তাই তো হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেছেন,

বিদ্যাদান অপেক্ষাও লাইব্রেরিদান আরো বড়ো। কেন- না লাইব্রেরি বিদ্যার মূল। যাঁহারা লাইব্রেরি দান করেন, তাহারা শ্রেষ্ঠ দানের উপরও যদি কিছু শ্রেষ্ঠ দান থাকে, তাই করিয়া থাকেন।



লাইব্রেরি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুরুতেই মহাসমুদ্রের কল্লোলের সঙ্গে বইয়ের অকৃত্রিম, অত্যন্ত সুক্ষ্ম সামঞ্জস্যতা দেখিয়েছেন, এছাড়াও লাইব্রেরির মধ্যে মানব হৃদয়ের বন্যাকে বেঁধে রাখার চমৎকার ধরণটির উল্লেখ করেছেন। তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে, লাইব্রেরিতে বাদ, প্রতিবাদ, দীর্ঘপ্রাণ, স্বল্পপ্রাণ, জীবিত-মৃত সকল ব্যক্তির হৃদয়ের ধ্বনি শব্দাকারে পাশাপাশি অবস্থান নিয়ে থাকে। যেখানে কেউ, কাউকে উপেক্ষা করে না, অবমাননা করে না বরং সমভাবে, যুক্ত হয়ে একত্রে রয়ে যায়।


পুস্তক ও পুস্তকালয়-  নগেন্দ্রনাথ বসু

পদ্মপুরাণের উত্তরখণ্ডে আছে,

ধর্মশাস্ত্র এবং পুরাণ শাস্ত্র লিখিয়া যদি ব্রাহ্মণকে দান করা যায়, তাহা হইলে দাতার দেবত্বপ্রাপ্তি হয়। বেদবিদ্যা ও আত্মবিদ্যাদি শাস্ত্র কার্ত্তিক মাসে ব্রাহ্মণকে দান করিলে অশেষ পুণ্যসঞ্চয় হইয়া থাকে। (পদ্মপুরাণ, উত্তরখণ্ড. ১১৭ অঃ)



জগতের সর্বপ্রধান লাইব্রেরিটি অবস্থিত ছিল ফরাসি রাজ্যে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, স্থানে যেমন ভারত, চীন, জাপান রাজ্য, জর্মন-সাম্রাজ্য, রোম, গ্রীস, ইজিপ্ত, নিনিভ নগর, ব্যাবিলোনিয়া, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল, চিলি, ভেনিজুয়েলা, ফ্লোরেন্স, লুইবন্দর ইত্যাদির লাইব্রেরিগুলোতে রয়েছে লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি বই।

আলেক্সান্দ্রিয়ার বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থাগার যা ছিলো জগতে সুপ্রাচীন এবং সুপরিচিত। এরপরই টলেমি এবং তার বংশধর ফিলাডেলফাস বিভিন্ন দেশ হতে গ্রন্থ সংগ্রহ করে স্বতন্ত্র লাইব্রেরি স্থাপন করেছিলেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশগুলোতে স্থাপিত লাইব্রেরিগুলোর স্থাপনা ইতিহাস, পুস্তক সংখ্যা ইত্যাদি জানা যায় তার এই লেখনীতে।


বই পড়া- প্রমথ চৌধুরী

লেখক তার এই প্রবন্ধটিতে বই পড়া, ছাত্র-শিক্ষক, লাইব্রেরির গুরুত্ব, আত্মার তৃপ্তি, বই পড়ার শখ, প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদির চমৎকার ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, শিক্ষকের সার্থকতা শিক্ষাদান করায় নয়, কিন্তু ছাত্রকে তা অর্জন করতে সক্ষম করায়। শিক্ষক ছাত্রকে শিক্ষার পথ দেখিয়ে দিতে পারেন, মনোরাজ্যের ঐশ্বর্যের সন্ধান দিতে পারেন, তার কৌতুহল উদ্রেক করতে পারেন, তার বুদ্ধিবৃত্তিকে জাগ্রত করতে পারেন, তার জ্ঞান পিপাসাকে জ্বলন্ত করতে পারেন, এর বেশি কিছু পারেন না। যিনি যথার্থ গুরু, তিনি শিষ্যের আত্মাকে উদ্বোধিত করেন এবং তার অন্তর্নিহিত সকল প্রচ্ছন্ন শক্তিকে মুক্ত এবং ব্যক্ত করে তোলেন। সেই শক্তির বলে সে নিজের মন নিজে গড়ে তোলে, নিজের অভিমত বিদ্যা নিজে অর্জন করে। বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে করতে হয়। গুরু উত্তরসাধক মাত্র।

সাহিত্যচর্চা করে দেশসুদ্ধ লোক গুণজ্ঞ হয়ে উঠুক, এই হচ্ছে দেশের লোকের কাছে আমার সনির্বন্ধ প্রার্থনা-প্রমথ চৌধুরী


লাইব্রেরি- সুকুমার রায়

সুকুমার রায় এখানে উল্লেখ করেছেন লাইব্রেরি সৃষ্টির ধরন, টেকসই পদ্ধতি অবলম্বন, সৌন্দর্য ইত্যাদির কথা।

পৃথিবীর সবচাইতে জাঁকালো লাইব্রেরি হচ্ছে আমেরিকান কংগ্রেস লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরির বাড়িটার জন্য সওয়া দু'কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সেই লাইব্রেরিতে চল্লিশ লক্ষ বই রাখার মতো জায়গা রয়েছে। ঘরবাড়ি আলমিরা আসবাবপত্র সব এমনভাবে তৈরি যে আগুনে, ভূমিকম্পে, ঝড় বিদ্যুতে তার কোনো অনিষ্ট করতে পারে না। যার ফলে আজীবন কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয় লাইব্রেরি ও মূল্যবান বইয়ের।


লাইব্রেরি- মোতাহের হোসেন চৌধুরী

ঢাকার মুসলিম সাহিত্য সমাজের মুক্তবুদ্ধি চর্চার আন্দোলনে পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত মোতাহের হোসেন চৌধুরী মূলত যুক্তিশীল প্রবন্ধ রচনায় খ্যাতি অর্জন করেন।

আত্মপ্রেমের ব্যাপারে আমাদের সব চাইতে বেশি সহায়তা করতে পারে পুস্তক। কারণ, যারা পুস্তক আলোচনা করেন তারাও আত্ম প্রেমিক- সাময়িক উত্তেজনা ও বিক্ষোভের উর্ধ্বে রাখতে চান আত্মার অম্লান শিখাটি, হট্টগোলের মাঝেও শুনতে চান অন্তরের শ্বাশত বাণী। তাই তারা মানুষের পরম নির্ভরযোগ্য বন্ধু ও পথপ্রদর্শক। তাদের স্থলে তাঁদের রচনাকে গ্রহণ করে আমরা প্রভূত লাভবান হতে পারি। কেননা, কোন ভালো গ্রন্থ পাঠ করা আর সেই গ্রন্থের রচয়িতার সঙ্গে তার শ্রেষ্ঠতম মুহূর্তে আলাপ করা এক কথা।

লাইব্রেরি সৃষ্টির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন-

সর্বপ্রকার জ্ঞান একত্রিত করে স্থায়িত্বদানের অভিপ্রায় থেকে লাইব্রেরীর সৃষ্টি।


লাইব্রেরি সাথে সম্পর্ক তৈরির কারণ আলোচনা করতে গিয়ে লেখক বলেন-

 সত্যিকার বৈদগ্ধ বা চিৎপ্রকর্ষের অধিকারী হতে হলে লাইব্রেরীর সঙ্গে অন্তরঙ্গতা সৃষ্টি করা অবশ্য প্রয়োজনীয়।


কবিতার প্রয়োজনীয়তা এবং কাব্যবোধ সম্পর্কে তিনি বলেন-

আমি বড় হব, ধনী হব, প্রভু হব, এই ধরনের আকাঙ্খার পরিবর্তে আমি ধ্যানী হব, সুন্দর হব, প্রেমিক হব ইত্যাকার আকাঙ্খায় কাব্য-প্রেমিকের অন্তর পরিপূর্ণ থাকে।


সমাজে লাইব্রেরির প্রয়োজনীয়তার প্রতি দিক নির্দেশ করে তিনি বলেন-

জাতির জীবনধারা গঙ্গা যমুনার মতো দুই ধারায় প্রবাহিত। এক ধারার নাম আত্মরক্ষা বা স্বার্থ - প্রসার, আরেক ধারার নাম আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। এক দিকে যুদ্ধবিগ্রহ, মামলা, ফ্যাসাদ প্রভৃতি কদর্য দিক, অপরদিকে সাহিত্য শিল্প, ধর্ম প্রভৃতি কল্যাণপ্রদ দিক। একদিকে শুধু কাজের জন্য কাজ, অপরদিকে আনন্দের জন্য কাজ। যে জাতি দ্বিতীয় দিকটির প্রতি উদাসীন থেকে শুধু প্রথম দিকটির সাধনা করে, সে জাতি কখনও উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না। মানসিক ও আত্মিক জীবনের সাধনা থেকে চরিত্রে যে শ্রী ফুটে ওঠে, তা থেকে তাকে একরকম বঞ্চিত থাকতেই হয়। জীবনে শ্রী ফুটাতে হলে দ্বিতীয় দিকটির সাধনা আবশ্যক। আর সেজন্য লাইব্রেরী এক অমূল্য অবদান।


বই কেনা- সৈয়দ মুজতবা আলী

ফরাসি কবি আনাতোল ফ্রাঁস বলেন,

মনের চোখ বাড়ানো কমানো তো সম্পূর্ণ আমার হাতে। নানা জ্ঞান বিজ্ঞান যতই আমি আয়ত্ত করতে থাকি, ততই একেকটা করে আমার মনের চোখ ফুটতে থাকে।



বার্ট্রান্ড রাসেল বলেছেন, 

সংসারের জ্বালাযন্ত্রণা এড়াবার প্রধান উপায় হচ্ছে, মনের ভিতর আপন ভুবন সৃষ্টি করে নেওয়া এবং বিপদকালে তার ভিতর ডুব দেওয়া। যে যত বেশি ভুবন সৃষ্টি করতে পারে, ভবযন্ত্রণা এড়াবার ক্ষমতা তার তত বেশি হয়।


একাদশ শতকের ফার্সি কবি ওমর খৈয়াম বলেছিলেন,

Here with a loaf of bread
Beneath the bough,
A flask of wine, a book of
Verse and thou,
Beside me singing in the wilderness
An wilderness is paradise enow.


বই চোর - বিনয় ঘোষ

বইচোরদের প্রতি লেখকের আহ্বান-


সজ্ঞানে যাঁর বই না বলে চুরি করেছেন তাঁকে ফেরত দিয়ে, আসুন। যাঁর বই বলে-কয়ে নিয়ে অজ্ঞানে আত্মবৎ মনে করেছেন তাঁর বই আজই ফেরত দিয়ে আসুন। ভগবান আপনাদের মঙ্গল করবেন।


বইচোরদের উদ্দেশ্য করে প্রাচীন কবি বলেছেন,

পুস্তকং হরতে যস্তু কাণো দুঃখী
ভবেন্নরঃ
মৃতঃ স্বর্গং ন গচ্ছেতু
পিতরং নরকং নয়েৎ।


কেউবা বলেছেন,

অর্জিতং ভুরিকষ্টেন পুস্তকং যচ্ছ মেনঘ।
হর্তূমিচ্ছতি যঃ পাপী তস্য
বংশক্ষয়ো ভবেৎ।


এত পরিমাণে গালাগাল ও অভিসম্পাতের পরও হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির আমলেও বইচোরার উপদ্রব ছিল। তারা এও বলেছিলেন, শূকরী তস্য মাতা চ পিতা তস্য চ গর্দভঃ। এত অভিশাপ, গালিগালাজ এর পরেও বইচোরদের সহজে দমন করা যেত না।


আমার গ্রন্থাগার - আব্দুল হক

মানুষের জীবনে সকল বন্ধুত্বই তো চিরস্থায়ী নয়। চোখের আড়াল হয়ে গেলে, জীবনের স্রোতের টানে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে এবং কখনও বা মনের, প্রকৃতির ও রুচির অমিল দেখা দিলে বহু ক্ষেত্রেই বন্ধুত্বের বাঁধন আস্তে আস্তে ঢিলে হয়ে যায়। তারপর কখন এক সময় আলগা হয়ে যায়।

 

লেখক মনে করেন-

মানুষের বন্ধুত্ব জিনিসটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অস্থায়ী, অনিশ্চিত। কিন্তু বইকে বন্ধু হিসাবে নিতে পারলে কেউ ঠকে না। যতই দিন যায় ততই এ বন্ধুত্ব প্রগাঢ় হয়। দিনে ও রাত্রে, আনন্দে - বিষাদে, বিরহে ও মিলনে, রোগশয্যায় ও ভ্রমণে জীবনের সব রকম মুহূর্তে সবচেয়ে নির্ভরশীল সঙ্গী হচ্ছে বই।


দিব্যজ্ঞান লাভে বই অনন্য- সমর পাল

বই হলো বিশ্বাসযোগ্য আয়নার মতো যাতে আমাদের প্রতিবিম্ব ধরা পড়ে। জ্ঞানী ও বীরদের প্রতিবিম্ব ও এর থেকে বাদ পড়ে না।

- কথাটি বলেছেন গীবন।

এছাড়াও অলিভার গোল্ড স্মিথ বলেছেন,

দুঃখ দুর্দশাগ্রস্তদের কাছে বই মধুর সঙ্গীতের মতো। বই যদি আমাদের জীবনকে উপভোগ করতে সহায়তা না করতে পারে, তবে অন্তত জীবনকে সহ্য করার শিক্ষা দিতে পারে।



সত্যিই তাই, দিব্যজ্ঞান অর্জনে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।



**********



প্রসঙ্গ: গ্রন্থ ও গ্রন্থাগার
সমর পাল


প্রচ্ছদ: মোহাম্মদ ইউসুফ
প্রকাশনী: কালিকলম প্রকাশনা, ঢাকা।
প্রকাশকাল: ২০২০
পৃষ্ঠা: ১১২
মূল্য: ২০০
ISBN: 978-702-540-280-9

মতামত:_

0 মন্তব্যসমূহ