পাখিদেরও আছে মন । আছে আবেগ, অনুভব ও উপলব্ধি তারাও ভালোবেসে বন্ধুর সঙ্গে ঘর বাঁধে। '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির মতো পাখিরাও কি দেশ বাঁচাতে অংশগ্রহণ করেছিল? তাদের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না, স্নেহ, মায়া, মমতা, ভালোবাসা, ক্রোধ, বিদ্রোহ এবং বীরত্বগাথা নিয়ে রচিত পঞ্চাশ পাখির গল্প....
প্রকৃতির সঙ্গে পাখি অবিচ্ছেদ্য এক সত্তা। বাংলাদেশের সবুজ- শ্যামল নিসর্গে যেমন নদ-নদী, হাওর-বাঁওড়-বিল বিধৌত সমতল ভূমি ছড়িয়ে আছে, তেমনি রয়েছে দিগন্তের কোলঘেঁষে পাহাড়ের সারি। কোথাও বনরাজি। এ দেশের সর্বত্রই পাখপাখালির রাজত্ব। শীতে বাংলাদেশের জলাশয়গুলো ভরে ওঠে পরিযায়ী পাখির কিচিরমিচিরে। এসবের বাইরে আমাদের নিজস্ব বিহঙ্গের সংখ্যা কম নয়। তাদের নাম এবং রূপেরও রয়েছে বৈচিত্র্য।
এমনই পঞ্চাশটি পাখির রূপময় জগৎ উঠে এসেছে এই বইটিতে। তবে সেসবের সঙ্গে মিশেছে লেখকের কল্পনাপ্রতিভা। পাখিদের জীবনযাপনের সঙ্গে তিনি মানবিক অনুভূতির সমন্বয় ঘটিয়েছেন। ফলে এসব গল্পে এ দেশের প্রকৃতি, পাখির জীবনযাপন, স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ উপজীব্য হয়ে উঠেছে। গল্পগুলো পাঠককে বাংলার চিরসবুজ প্রকৃতির গভীরে যেমন টেনে নেবে, তেমনি অনেক গল্প বঙ্গবন্ধুর অকুতোভয় দিকনির্দেশনায় পরিচালিত মহান মুক্তিযুদ্ধে মানুষের পাশাপাশি পাখিদের অংশগ্রহণের মতো নতুন কল্পজগতের সঙ্গে পরিচিত করাবে। গল্পগুলো কিশোর-উপযোগী হলেও পরিণত পাঠকের ভাবাবেগ এবং মননকেও উজ্জীবিত করতে পারে। এর ভাষার সারল্যও পাঠককে আনন্দ দেবে।
প্রসঙ্গ-কথা
শেষ পর্যন্ত বিচারকরা দোয়েলকে জাতীয় পাখির মর্যাদা দেয়। যে কারণে তাকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে তা হলো, দোয়েলকে দেশের সর্বত্র দেখা যায়। মানুষের বসতিতে, গ্রামে, শহরে, মাঠে-বনে সব জায়গায় দোয়েলের সমান বিচরণ রয়েছে।
এই উদ্ধৃতিটি কবি ও শিশুসাহিত্যিক মানজুর মুহাম্মদের 'পঞ্চাশ পাখির গল্প' নামের বইটির 'গানের পাখি দোয়েল' গল্পটি থেকে নেওয়া। গল্পটিতে লেখকের মুনশিয়ানা আছে-আছে চমৎকার বর্ণনা ও প্রকৃতি তথা পাখি সম্পর্কে গভীর ধারণা। গল্প বলার ঢংটাও ভারি চমৎকার।
খুব সুন্দর কাহিনি তিনি বেছে নিয়েছেন এবং পাঠককে টেনে নিয়ে গেছেন শেষ পর্যন্ত।
অদূরে মৌমাছিদের বিশাল ঝাঁক দেখা যাচ্ছে। মৌমাছিদের ভোঁ ভোঁ আওয়াজ আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। মৌমাছিদের বিশাল ঝাঁকটি কাটা পাহাড় এলাকায় পৌঁছার আগেই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পাখিরা মৌমাছিদের ঝাঁকের দিকে তেড়ে গেল। সুইচোরারা বিমানের মতো উড়ে গিয়ে মৌমাছিদের প্রথম আক্রমণ করল।
'কাজল চোখা সুইচোরা' গল্পের এই লাইনগুলোতেই আছে পাখি ও মৌমাছিদের যুদ্ধের কথা। এটি কিন্তু নিছক গল্পই নয়-বাস্তবেও কখনো কখনো এ রকম যুদ্ধ লাগে। এভাবে 'পঞ্চাশ পাখির গল্প' বইটির প্রতিটি গল্পেই রয়েছে সুন্দর বর্ণনা ও কাহিনি। আছে বাংলাদেশের পাখিদের সুন্দর সুন্দর নাম। বাংলাদেশের নদী ও পাখির নামগুলো ছড়া-কবিতার মতো সুন্দর ও মনকাড়া। লেখক পঞ্চাশটি গল্পই লিখেছেন নিসর্গ তথা পাখি ও প্রকৃতি নিয়ে। পাখি ও প্রকৃতি নিয়ে শিশুদের জন্য গল্প লিখতে হলে পাখি-প্রকৃতি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হয়-পঞ্চাশটি গল্পই আমি মনোযোগসহকারে পড়ার পর বুঝে ফেলেছি, মানজুর মুহাম্মদের সে জ্ঞান পুরোপুরিই আছে। গল্পগুলোর শিরোনামও সুন্দর। যেমন-লাল-হলুদ সহেলি, ঘুমকাতুরে কমলাবউ, ছোট্ট পাখি ফুলঝুরি, ভ্রমণপিয়াসী শ্যামা, নাচুনে ভরত, মাঠের পাখি ধানটুনি ইত্যাদি। আরও আছে পোষ না মানা চড়ুই, স্বর্গীয় পাখি দুধরাজ, হরবোলা সোনাকানি ময়না, কোকিল বাহিনী ও অন্যান্য গল্প। পঞ্চাশটি গল্প পাখি ও বনজঙ্গল নিয়ে। এই গল্পগুলো পড়লে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সি পাঠকই পাখি সম্পর্কে যেমন ভালো ধারণা পাবেন—পাবেন গল্পের মজা ও প্রকৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা। পাখিরা শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্যই নয়-ওরা মানুষ ও প্রকৃতির উপকারী বন্ধুও। মানজুর মুহাম্মদ গল্পগুলোতে এ বিষয়গুলো বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেমন ফুটিয়ে তুলেছেন, তেমনি গল্পের প্রয়োজনে শিশুদের মনোরঞ্জনও করেছেন। পাখি ও পরিবেশবিজ্ঞানকে সাহিত্যে রূপান্তরে তিনি সার্থক।
মানজুর মুহাম্মদ কবি, গল্পকার ও ছড়াকার। তার লেখা 'ছড়া আমার বাংলাদেশে' আমি পড়েছি। পড়েছি ছোট উপন্যাস (গল্পও বলা যায়) ভূতবন্ধুর গল্প। ভালোই লেগেছে। গল্প-ছড়ায় তার দক্ষতা আছে, লেখনীর কৌশলটাও ভালো। এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ৩৪টি। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের ফাঁকে ফাঁকে তিনি সাহিত্যচর্চা করছেন ও ভালো লিখছেন। তার হাত দিয়ে আরও ভালো ভালো লেখা বেরিয়ে আসবে সে প্রত্যাশা অবশ্যই করা যায়।
'পঞ্চাশ পাখির গল্প' বইটি শিশু-কিশোরদের তো ভালো লাগবেই-চমৎকার কাহিনির জন্য ভালো লাগবে সব বয়সি পাঠকের, এ বিশ্বাস আমার রইল।
- শরীফ খান - সাহিত্যিক, শিশুসাহিত্যিক, পাখি ও বন্যপ্রাণীবিশারদ
ভূমিকা
শুভ্র নীল আকাশের গায়ে পাখি যেন ছুটন্ত নকশি ফুল। বন, মাঠ, জল ও আকাশে ছড়িয়ে থাকে তাদের সুখ-দুঃখের আখ্যান। বিচিত্র রঙের পাখি সবুজ প্রকৃতিকে আরও রাঙিয়ে তোলে। তাদের বিচিত্র স্বরের গানে নিসর্গের নীরবতার খাঁজে যেন সুন্দরের মণিমাণিক্য জমে ওঠে। সেই সুরে মন ভরে যায়। বাহারি পাখি চোখ জুড়িয়ে দেয়। তাদের কণ্ঠে বেজে ওঠা সুরে বোঝা যায় পাখির হাসি ও কান্না।
বাংলাদেশ পাখির দেশ। গানের দেশ। ফুল-প্রজাপতির দেশ। বন-বনানী, জলাভূমি, হাওর-বিল, নদী-খালের দেশ। এখানকার নিসর্গ পাখিতে ভরপুর। এখানে প্রায় সাতশ প্রজাতির পাখি আছে। এর অর্ধেক অতিথি পাখি। তারা আমাদের দেশে আসে বছরের বিশেষ সময়ে। কিছুদিন থেকে আবার চলে যায়। এদের বলে পরিযায়ী পাখি। বাকি অর্ধেক আবাসিক। বাংলাদেশের পাখির নামও খুব আদুরে। যেমন ফুটফুটি, বসন্তবৌরি, ফুলঝুরি, ভরত, চশমা পাখি, নীলকণ্ঠ, মুনিয়া, সহেলি, হলদেবউ, কমলাবউ, বন্ধন, নীলপরি, শ্যামা, দোয়েল, বুলবুলি, চড়ুই, মথুরা, রঙিলা বক, ডুবুরি, পাপিয়া, রাঙ্গাহালতি, হালতি ইত্যাদি। নামগুলো মন ছুঁয়ে যায়। এদের কণ্ঠ সুরেলা। তাদের গানে প্রাণ ভরে যায়। সবচেয়ে ছোট্ট পাখিটির নাম ফুলঝুরি, আর সবচেয়ে বড়টির নাম মদনটাক। পাখিরা আমাদের পরিবেশের এক বড় সম্পদ। তারা শুধু সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না, বনের খাদ্যশৃঙ্খলে স্বাভাবিক ধারাও বজায় রাখে। পাখিরা ফসলের যতটুকু খায়, ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে উপকার করে তার চেয়ে বেশি। তারা উদ্ভিদের পরাগায়ন ও বীজের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অথচ মানুষের কাছে পাখিরা আজ নিরাপদ নয়। আমাদের স্বার্থেই এসব প্রাণী বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
পাখিদের আচার-আচরণ, ঘরসংসার, জীবনযাপন, পরস্পরের সম্পর্কের গভীরতা, আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ আমাকে পাখি-জীবনের গভীরে প্রবেশের জন্য বারবার উৎসাহিত করে। সে কারণেই এই প্রাণী সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগ্রহ তৈরি হয়। সংগৃহীত তথ্য পুঁজি করে কল্পনার মিশ্রণে এই গ্রন্থের কাহিনিগুলো লেখা হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে গল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের পাখি, প্রকৃতি, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য।
এ দেশের প্রকৃতি, পাখির জীবনযাপন, স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা গল্পগুলোর মূল উপজীব্য। এসব গল্প পাঠককে বাংলার চিরসবুজ প্রকৃতির গভীরে যেমন টেনে নেবে, তেমনি অনেক গল্প বঙ্গবন্ধুর অকুতোভয় দিকনির্দেশনায় পরিচালিত মহান মুক্তিযুদ্ধে মানুষের পাশাপাশি পাখিদের বিচিত্র আচরণের নতুন দিগন্তের সঙ্গে পরিচিত করাবে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে। পাঠকের মনে গল্পগুলো পাখি সুরক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে, দেশপ্রেম ও পাখিপ্রেম জাগরণে ভূমিকা রাখবে। পাখির জন্য পাঠকের মনে অপার ভালোবাসার জন্ম দেবে। এর মধ্য দিয়ে পাঠক বাংলাদেশে পাখি নিধন বন্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরপূর্তিতে বাংলাদেশের মোট পঞ্চাশটি পাখির ওপর লেখা পঞ্চাশটি গল্প নিয়ে এই গ্রন্থ। প্রতিটি গল্পে একটি নির্দিষ্ট পাখিকে প্রধান চরিত্রে পাওয়া যাবে। প্রতিটি গল্পে প্রধান চরিত্রের পাখিটির নাম, দৈহিক বর্ণনা, রঙ, ডাক, খাদ্য, বাসা, স্বভাব, বৈশিষ্ট্য এবং তাদের যাপিতজীবনের সুখ, দুঃখ, কান্না, হাসি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পাঠক এসব গল্পে পঞ্চাশটি পাখি সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন। এ ছাড়াও প্রতিটি গল্পে সহযোগী চরিত্রের আরও অনেক পশু-পাখি সম্পর্কেও জানা যাবে।
বাংলাদেশের পাখি পর্যবেক্ষক, যারা স্বচক্ষে পাখির জীবনবৈচিত্র্য অনুসন্ধান করে গ্রন্থ রচনা করেছেন, এসব প্রাণীর জীবন ও জগৎ বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্য তুলে ধরেছেন তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। গ্রন্থটির পাণ্ডুলিপি বিশিষ্ট পাখি গবেষক শিশুসাহিত্যিক শরীফ খান গভীর আগ্রহভরে পাঠ করেছেন এবং প্রসঙ্গ-কথায় তাৎপর্যপূর্ণ মূল্যায়ন লিখেছেন। আমি তাঁর কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। গ্রন্থটি অত্যন্ত যত্ন নিয়ে প্রকাশ করাই স্বনামধন্য প্রকাশনী কথাপ্রকাশের প্রকাশক, সম্পাদনা পরিষদ, গ্রাফিক ডিজাইনারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক প্রীতি ও শুভকামনা রইল।
- মানজুর মুহাম্মদ, ডিসেম্বর, ২০২১, চট্টগ্রাম
সূচি
- লাজুক নীল পাখি
- লাল-হলুদ সহেলি
- ঘুমকাতুরে কমলাবউ
- ছোট্ট পাখি ফুলঝুরি
- ভ্রমণপিয়াসী শ্যামা
- বাদামি পাখি খোঁপা-ঈগল
- বনের রাজা বনমোরগ
- দুষ্টু শালিক
- কাজল-চোখা সুইচোরা
- মাছবন্ধু মাছরাঙা
- মানিকজোড়ের বন্ধু-মন
- মাঠের পাখি ধানটুনি
- নাচুনে ভরত
- পোষ না মানা চড়ুই
- স্বর্গীয় পাখি দুধরাজ
- লাল-খয়েরি ভুবনচিল
- দৌড়বিদ কালকূট
- গানের পাখি দোয়েল
- হলদে পাখি বেনেবউ
- হরবোলা সোনাকানি ময়না
- কাঁচি ঠোঁটের কাস্তেচরা
- কোকিল কাহিনি
- সুচালো ঠোঁটের মোচাটুনি
- শামুকভাঙার ঠোঁটতালি
- সোনালি-পিঠ কাঠঠোকরা
- ধূসর বাদামি কাঠময়ূর
- সাপ-গলার সাপপাখি
- টেকো-মাথা হাড়গিলা
- বনতিতিরের পাঠশালা
- লড়াকু বুলবুলি
- ছাতারেরা সাতজন
- রাজকীয় রাজধনেশ
- বনবাগানের বড় কুকো
- ডুবসাঁতারু ডুবুরি
- জলমোরগের ফাঁদ
- রূপসী পাখি মথুরা
- ঘুঘুর কান্না
- দলের নেতা জিরিয়া
- রাতজাগা বুনোহাঁস
- ফটিকজলের মন ভালো
- বুদ্ধির রাজা হাট্টিটি
- লম্বা ঠোঁটের রামশালিক
- বনের রাডার ভুতুম পেঁচা
- মায়াবী পাখি ফুটফুটি
- ভয়ংকর শাহবাজ
- তুর্কিবাজের তুলতুলে ছানা
- ফাইটার মাছমুরাল
- মধুপাগল মধুবাজ
মানজুর মুহাম্মদ
জন্ম ৫ জানুয়ারি, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ হতে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি করেছেন। কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু। বর্তমানে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন উপসচিব। নব্বইয়ের দশক থেকে সাহিত্যচর্চায় নিবেদিত।
কাব্যগ্রন্থ
তুমি এক অনন্ত কবিতা, জলকাব্য, দেহপুরের দোঁহা, ভালোবাসার কবিতা, রুবাইয়াত, চলো জল হয়ে যাই, মাটির পাখি আলোর ডানা, শোনো, একাকী একসাথে, বুঝি এভাবেই, রৌদ্র পিপাসা।
ছড়া-সংকলন
কাশের কোলে বাতাস দোলে, ইষ্টি এলো ইষ্টি রে, ছুটছে তালে ছড়ার ঘোড়া, নেবুর বনে জোনাকি, আজ পুতুলের বিয়ে, লাল পুতুলের ছড়া, আয়না ওরে টিয়ে, ছন্দে ছড়ায় নাচ্ছে চড়াই, নির্বাচিত ছড়া, ছড়ার ঘড়া মধু ভরা, ছড়া আমার বাংলাদেশ, নাচলো ইঁদুর তাক-ধিনা, আমি রঙিন ঘুড়ি
গল্পগ্রন্থ
জলপাই রঙের গ্রেনেড, গগন যখন গেরিলা, বিনুর বাঁশের বন্দুক, কাটা পাহাড়ের লাল টিয়ে, লালি, প্রজাপতি চকচক, ভূতবন্ধুর গল্প, খুদে ক্যাপ্টেন, মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প, পঞ্চাশ পাখির গল্প
সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন কথন সাহিত্য পুরস্কার, প্রতীকী ছড়াসাহিত্য পুরস্কার, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার, আবু হাসান শাহীন স্মৃতি শিশুসাহিত্য পুরস্কার, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সাহিত্য পুরস্কার, লাটাই শিশুসাহিত্য পুরস্কার।
::::::::::
পঞ্চাশ পাখির গল্প
মানজুর মোহাম্মদ
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০২২
প্রকাশক : কথাপ্রকাশ
প্রচ্ছদ : সোহাগ পারভেজ
মূল্য : ১২০০

0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম