খ্রিষ্টীয় প্রথম শতক। অজ্ঞাতনামা এক গ্রিক নাবিক মিশরের প্রাচীন বন্দর ম্যাওস হরমোস (Myos Hormos) থেকে যাত্রা করে ঘুরতে ঘুরতে হাজির হলেন বঙ্গোপসাগরের উত্তরভাগে। তাঁর শেষ গন্তব্য উত্তর-পূর্ব কোণ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা এক বন্দর যেখানে গঙ্গা নদীর পূর্ব মোহনার অবস্থান। নদীর নামে সেই বন্দরনগরের নামও গঙ্গা। সেই বন্দর থেকে রপ্তানি হয় বিশ্বখ্যাত মসলিন, সুগন্ধি দ্রব্য, মুক্তোদানা; যেখানে প্রচলিত আছে 'কালটিস' নামের স্বর্ণমুদ্রা, 'কোলানডিয়া' নামের বৃহত্তম সামুদ্রিক জাহাজ সেখানে বাণিজ্য করতে যায়। টলেমির মানচিত্রে 'কাতাবেদাস' বা কর্ণফুলি নদীর উত্তরভাগে অবস্থিত 'পেন্টাপলিস' নামে চিহ্নিত সেই জনপদই চাটিগাঁ বা চট্টগ্রাম।
দেড় হাজার বছর পর ১৫৫২ সালে জোয়াও দে বারোস (Joao De Barros) লিখলেন:
যে-দেশের মধ্য দিয়ে গঙ্গা নদীর দুই প্রধান শাখা পূর্ব সমুদ্রে গিয়ে মিশেছে সেই দেশই বাঙ্গালা... এই দুই শাখার মোহনার মধ্যে দুটি বড় নদী-একটি পূর্ব থেকে অন্যটি পশ্চিম থেকে এসে পড়েছে। এই দুটি নদীই এদেশের দুই সীমানা। এদের মধ্যে একটিকে আমাদের লোকেরা চাটিগাঁয়ের নদী বলে। নদীটি গঙ্গার পূর্ব দিকের মোহনায় এই নামের শহরের কাছে পড়েছে। এই চাটিগাঁ শহরটিই এই রাজ্যের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও সম্পদশালী শহর।
নিবেদন
ইতিহাসকালের বিচারে ৫০০ বছর খুব অল্প সময়। কিন্তু চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পটপরিবর্তনগুলো ঘটেছিল গত পাঁচ শতাব্দীর ভিতরেই। ষোড়শ শতকের শুরুতে সমগ্র পৃথিবীতে যখন ইয়োরোপীয় উপনিবেশবাদ শাখা-প্রশাখা বিস্তার করতে শুরু করেছিল সুদূর চট্টগ্রামেও তার হাওয়া এসে পড়েছিল। কলম্বাসের আমেরিকা-আবিষ্কার কিংবা ভাস্কো-দা- গামার ভারতের জলপথ-আবিষ্কারের ঘটনাগুলোর প্রভাব গাঙ্গেয় মোহনায় এসে চট্টগ্রামের উপরই সবার আগে পড়েছিল।
আদিকাল থেকে চট্টগ্রামই ছিল বাংলার একমাত্র আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বার। কোমল মৃত্তিকার সমৃদ্ধ অর্থনীতির বাংলার সঙ্গে বাণিজ্য অতি লাভজনক একটি বিষয় ছিল বলে দুহাজার বছর আগেও গ্রিক বণিকেরা গঙ্গার পূর্ব মোহনার গাঙ্গে নগরে বাণিজ্যতরী পাঠাত। সেই প্রাচীন 'গঙ্গা' নগরের উত্তরসূরি বর্তমান চট্টগ্রাম।
হাজার বছরের ইতিহাস বিচার করে দেখা যায়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের আগে চট্টগ্রাম কখনও এদেশীয় মানুষের দ্বারা শাসিত হয়নি। আরাকান, ত্রিপুরা, পাঠান, মোগল, ইংরেজ, পাকিস্তান পর্যন্ত সবাই ছিল বিদেশি শক্তি। চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য বাংলাদেশের বাকি অংশের চেয়ে এখানকার ঐতিহাসিক ঘটনাবলির চরিত্র আলাদা। চট্টগ্রামের উপর বারবার আগ্রাসন চালিয়ে উপনিবেশ বানাতে চেয়েছিল; তাদের প্রত্যেকের উদ্দেশ্যও ছিল আলাদা। দীর্ঘ সময় চট্টগ্রামের উপর নানান বিদেশি শক্তির অবস্থান ও কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে উপনিবেশ চট্টগ্রাম: ৫০০ বছরের ধারাবাহিক ইতিহাস রচিত।
চট্টগ্রামের ইতিহাস নিয়ে উনিশ শতকের মৌলবি হামিদুল্লাহ খান বাহাদুর থেকে বিশ শতকের ড. আহমদ শরীফ পর্যন্ত অনেকেই লিখেছেন। তবু আরেকটি নতুন বই কেন প্রয়োজন হলো?
ইতিহাস রচনা একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনেকগুলো গ্রন্থের যোগফল থেকে নিবিষ্ট পাঠক তাঁর প্রয়োজনীয় তথ্য আহরণ করেন। ইতিহাস রচনার অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হলো অতীত ঘটনাবলিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা এবং মুছে যাওয়া ঘটনার শূন্যস্থান পূরণ করা। একটি গ্রন্থ কখনও সবগুলো শূন্যস্থানকে পূরণ করতে পারে না। প্রতিটি গ্রন্থ পাঠকের জন্য কিছু-না-কিছু নতুন তথ্য হাজির করে। সেসব তথ্যখণ্ড যোগ করতে করতেই রক্ষা পায় ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। এই ধারাবাহিকতার প্রক্রিয়ায় অতীতের মতো ভবিষ্যতেও নতুন তথ্য নিয়ে হাজির হবেন অন্য কোনও গবেষক। এভাবেই নির্মিত হতে থাকবে ইতিহাসের বিলবোর্ড।
প্রচলিত ইতিহাসগ্রন্থে তথ্যের পর তথ্য সাজানো থাকে। শুধু তথ্য দিয়ে জ্ঞানভাণ্ডার পূর্ণ হয় ঠিকই, কিন্তু প্রাণের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয় না। চট্টগ্রামের ইতিহাসের নানান বাঁকে মোড়-ফেরানো কিছু গল্প আছে। সেই গল্পগুলো অতীতের ইতিহাসগ্রন্থে অনুপস্থিত কিংবা খুব তুচ্ছ করে প্রকাশিত। অথচ সেসব গল্পের ভূমিকা ইতিহাসের পালাবদলে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। উপনিবেশ চট্টগ্রাম: ৫০০ বছরের ধারাবাহিক ইতিহাস-এ সেই গল্পগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে।
সূচিপত্র
- প্রাক্কথন
- ষোড়শ শতকের পৃথিবী এবং ইয়োরোপীয় উপনিবেশবাদ
- দক্ষিণ আমেরিকার দুই প্রাচীন সভ্যতা: নর্তে চিকো ও মাপুচে
- ভারতের বাণিজ্যপথ আবিষ্কারে ইয়োরোপ কেন মরিয়া ছিল?
- নতুন পৃথিবীর স্বপ্নদ্রষ্টা প্রিন্স হেনরি
- দুনিয়া-ভাগাভাগির দুই চুক্তি
- পৃথিবী জুড়ে ইয়োরোপের উপনিবেশ বা শোষণকেন্দ্র
- প্রথম অধ্যায়
- ইতিহাসের পেন্টাপলিস, গাঙ্গে, চাটিগাম কিংবা সিটি অব বেঙ্গালা
- পেরিপ্লাসের গাঙ্গে কিংবা টলেমির পেন্টাপলিস
- লুডোভিকো ভারথেমা ও বাঙ্গেলা শহর (১৫০৫)
- দুয়ার্তে বারবোসা-র বর্ণনায় চট্টগ্রাম (১৫১৫)
- ডোম জোওয়াও দে লেইমা-র চোখে চট্টগ্রাম শহর (১৫১৮)
- জোয়াও দে বারোসের বর্ণনায় চট্টগ্রাম (১৫৫২)
- দ্বিতীয় অধ্যায়
- ষোড়শ শতকের অস্থিরতায় চট্টগ্রাম
- মধ্যযুগের ক্রান্তিকালে
- বাংলা ও ত্রিপুরার চট্টগ্রাম-অধিকার যুদ্ধ (১৫১৩-১৫১৫)
- একটি জাহাজ-ছিনতাই এবং পর্তুগিজদের চট্টগ্রামে আগমন (১৫১৭)
- পেরেইরা কর্তৃক খাজা শিহাবুদ্দিনের জাহাজ দখল (১৫২৬)
- চকরিয়ায় খোদাবক্স খানের হাতে পর্তুগিজ জিম্মি (১৫২৮)
- চট্টগ্রামে আফোনসো দে মেলোর দ্বিতীয় অভিযাত্রা (১৫৩৩)
- চট্টগ্রামে পর্তুগিজ উপনিবেশের অনুমোদন
- গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহের পতন এবং পর্তুগিজ জলদস্যুতার জন্ম (১৫৩৮)
- ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়তি যখন প্রস্তুত হচ্ছিল
- তৃতীয় অধ্যায়
- চট্টগ্রামের ইতিহাসের বিভ্রান্তিকর সময় (১৫৪০-১৫৮৬)
- মুখপাঠ
- নসরত শাহ থেকে শের শাহ, ত্রিপুরা এবং আরাকান: বিক্ষিপ্ত শাসনপর্ব
- বিজয় মানিক্যের চট্টগ্রাম-বিজয়ের ঘটনা নিয়ে ঐতিহাসিক বিভ্রান্তি
- আরাকান-ত্রিপুরার চূড়ান্ত যুদ্ধ (১৫৮৬)
- একটি আইভরি মুকুটের কূটনৈতিক কৌশল
- ষোড়শ শতক জুড়ে চট্টগ্রাম কখন কার শাসনাধীন ছিল?
- চতুর্থ অধ্যায়
- চট্টগ্রামে আরাকানি উপনিবেশের শেষ ৮০ বছর
- আরাকান-পর্তুগিজ মৈত্রী ও বিরোধের গাথা
- কারভালহোর দুর্ধর্ষ উত্থান ও নিঃশব্দ পতন
- মালদ্বীপে আরাকানি প্রতিশোধ (১৬০৫)
- দেয়াং হত্যাকাণ্ড (১৬০৭) এবং সেবাস্তিয়ান গঞ্জালেসের উত্থান
- একটি হাতি এবং আরাকানরাজের বিরুদ্ধে আনাপুরমের বিদ্রোহ (১৬০৯)
- ইসলাম খানের চট্টগ্রাম-অভিযান এবং আরাকানি অন্তর্কোন্দল
- মেং মাংরি: চট্টগ্রামে আরাকানি ভ্রাতৃযুদ্ধের বলি (১৬১২)
- মেং খামঙের ব্যর্থ ভুলুয়া-অভিযান (১৬১৪)
- মেং খামঙের দ্বিতীয় ভুলুয়া-অভিযান এবং নিঃসঙ্গ পলায়ন (১৬১৫)
- কাসেম খানের ব্যর্থ চট্টগ্রাম-অভিযান (১৬১৬)
- গঞ্জালেস-অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি এবং আরাকানের সন্দ্বীপ-অধিকার (১৬১৭)
- ইব্রাহিম খানের অসংলগ্ন চট্টগ্রাম-অভিযান (১৬২১)
- সম্রাট শাহজাহান ও থিরি সুধর্মার সৌজন্য-বিনিময় (১৬২৩)
- প্রাসাদ-ষড়যন্ত্রের অমানবিকতা,
- থিরি সুধর্মার মৃত্যু এবং চট্টগ্রামে মুকুট রায়ের বিদ্রোহ
- একটি বিচিত্র যুদ্ধকূটনৈতিক পত্রবিনিময় (১৬৩৮)
- চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শূন্যতার সময় (১৬৩৯-১৬৫৯)
- শাহ সুজার পলায়ন এবং আরাকানে আশ্রয় গ্রহণ (১৬৬০)
- চেথারল কুম্বাবা-য় শাহ সুজার ভিন্ন পরিণতি (১৬৬১)
- বাংলায় আরাকানি দুর্বৃত্তপনা এবং
- শাহ সুজার পরিবারের উপর সর্বশেষ আঘাত (জুলাই ১৬৬৩)
- পঞ্চম অধ্যায়
- চট্টগ্রামে মোগল-অভিযান (১৬৬৬)
- চট্টগ্রাম-অভিযানের সম্ভাব্য কারণ
- শায়েস্তা খানের প্রথম কূটনীতি: পর্তুগিজপর্ব
- শায়েস্তা খানের দ্বিতীয় কূটনীতি: ওলন্দাজপর্ব
- কৌশলগত অবস্থান: সন্দ্বীপ-দখল
- নৌপথ ও স্থলপথের চূড়ান্ত আক্রমণ
- কর্ণফুলি নদীতে অবরুদ্ধ আরাকানি বাহিনী
- বিজয়ের পথে মোগল-বাহিনী
- ষষ্ঠ অধ্যায়
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চট্টগ্রাম-অভিযান (১৬৮৬-১৬৮৮)
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শুল্ক-অসন্তুষ্টি ও বিবাদ (১৬৮২) গভর্নর উইলিয়াম হেজেসের পদচ্যুতি এবং
- অ্যাডমিরাল নিকলসনের চট্টগ্রাম-অভিযান
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হুগলি হত্যাকাণ্ড
- জব চারনকের সুতানটি-প্রস্তাব
- উইলিয়াম হিথের অসংলগ্ন চট্টগ্রাম-অভিযান (১৬৮৮)
- উইলিয়াম হিথের প্রথম পাগলামি
- উইলিয়াম হিথের দ্বিতীয় পাগলামি
- উইলিয়াম হিথের তৃতীয় পাগলামি
- পণ্ড হলো উইলিয়াম হিথের চট্টগ্রাম-অভিযান
- চট্টগ্রামে ব্যর্থ ইংরেজদের হাতে কলকাতা নগরের ভিত্তি স্থাপন
- সপ্তম অধ্যায়
- মোগল শাসন থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (১৬৬৬-১৭৬০)
- চট্টগ্রামে মোগল-সাফল্য
- আরাকানি আক্রমণে চট্টগ্রাম (১৭২৫-১৭২৬)
- বাংলার বাণিজ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কৌশলী অনুপ্রবেশ
- ফররুখশিয়ারের হাত থেকে বাণিজ্যসুবিধা আদায়ের কৌশল
- মুরশিদকুলি খানের আপত্তি
- কোম্পানির কর্মচারীদের অবৈধ দস্তক-ব্যবহার
- কোম্পানির ষড়যন্ত্রপর্ব এবং নবাব সিরাজউদ্দৌলা
- পলাশী যুদ্ধের প্রহসন, সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ও মৃত্যু
- আস্থাহীনতায় বিশ্বাসঘাতক মির জাফরও
- মির জাফরের কাছে কোম্পানির চট্টগ্রাম-দাবি
- মির কাশিমের সঙ্গে গোপন চুক্তি এবং চট্টগ্রামের শাসনাধিকার
- মির কাশিমের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির অনুলিপি
- আবার মির জাফর
- বক্সারের যুদ্ধ এবং ভারতের স্বাধীনতার শেষ সূর্যাস্ত
- অষ্টম অধ্যায়
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনে চট্টগ্রাম (১৭৬০-১৮৫৭)
- মির কাশিম ও শাহ আলমের ফরমানে কোম্পানির হাতে চট্টগ্রাম
- চট্টগ্রামের শেষ মোগল গভর্নর রেজা খান: কোম্পানির প্রথম দেশীয় আমলা
- চট্টগ্রাম ভূমিকম্প (১৭৬২)
- চট্টগ্রামে ফরাসি কুঠির উত্থান ও পতন
- ব্রিটিশ শাসনের শুরুতে চট্টগ্রামের দক্ষিণ ফ্রন্টের অবস্থা
- ফ্রানসিস বুখাননের চোখে অষ্টাদশ শতকের চট্টগ্রাম
- হাবিলদার রজব আলি এবং সিপাহি-বিদ্রোহে চট্টগ্রাম (১৮৫৭)
- নবম অধ্যায়
- সরাসরি ইংরেজ-শাসন (১৮৫৮-১৯৪৭)
- চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটি ও নগর-উন্নয়ন চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটির ল্যাট্রিন ট্যাক্স এবং
- চট্টগ্রামের প্রথম সহিংস নাগরিক বিক্ষোভ
- চট্টগ্রাম ঘূর্ণিঝড় (১৮৭৬)
- চট্টগ্রাম বন্দর, রেলওয়ে এবং আমদানি-রপ্তানি-বাণিজ্য
- উনিশ শতকে চট্টগ্রামের যোগাযোগব্যবস্থা
- স্বদেশি আন্দোলনের সূচনাপর্বে চট্টগ্রাম
- বঙ্গভঙ্গে চট্টগ্রাম
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চট্টগ্রাম-আগমন মহাত্মা গান্ধির চট্টগ্রাম-সফর এবং
- চট্টগ্রামে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের আদিকথা
- চট্টগ্রামে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব
- দুর্ভিক্ষ (১৯৪৩)
- কাহারপাড়ার ধ্বংসযজ্ঞ (১৯৪৫)
- দশম অধ্যায়
- চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহ (১৯৩০)
- বিদ্রোহের সূত্রপাত
- অস্ত্রসংগ্রহ
- চূড়ান্ত আক্রমণ (১৮ এপ্রিল ১৯৩০)
- রেল-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা
- টেলিফোন ভবন আক্রমণ
- পুলিশ অস্ত্রাগার দখল
- অক্সিলিয়ারি ফোর্স অস্ত্রাগার দখল
- ইয়োরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ
- পুলিশ অস্ত্রাগারে খণ্ডযুদ্ধ
- স্বাধীন বিপ্লবী সরকার প্রতিষ্ঠা
- জাহাজে আশ্রয় নেওয়া ইংরেজ সিভিলিয়ান
- পলাতক বিপ্লবী
- জালালাবাদ যুদ্ধ (২২ এপ্রিল ১৯৩০)
- ধলঘাট সংঘর্ষ: সূর্য সেন, প্রীতিলতা ও শহিদ নির্মল সেন (১৩ জুন ১৯৩২)
- প্রীতিলতার নেতৃত্বে পাহাড়তলী
- ইয়োরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ (২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩২)
- গৈড়লা সংঘর্ষ এবং সূর্য সেনের গ্রেপ্তারপর্ব (১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩)
- গহিরা সংঘর্ষে গ্রেপ্তার কল্পনা দত্ত ও তারকেশ্বর দস্তিদার (১৯ মে ১৯৩৩)
- চট্টগ্রাম জেলে সূর্য সেনের ফাঁসি (১২ জানুয়ারি ১৯৩৪)
- প্রাণহীন সূর্য সেনকে নিয়ে ইংরেজদের আতঙ্ক
- একাদশ অধ্যায়
- দেশভাগ এবং পাকিস্তানি উপনিবেশের যাত্রারাম্ভ
- একটি দেশ, দুটি ভাগ, ব্যাপক বৈষম্য
- ভাষা-আন্দোলনে চট্টগ্রাম
- ছয় দফার লালদীঘি জনসভা (১৯৬৬)
- দ্বাদশ অধ্যায়
- মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম (১৯৭১)
- ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামের যুদ্ধপরিকল্পনা এবং প্রাথমিক আক্রমণ
- পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্যাপ্টেন রফিকের
- ইপিআর-বাহিনীর আগাম অপারেশন (২৫ মার্চ ১৯৭১)
- বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা-ঘোষণার যাত্রাপথ (২৫ মার্চ ১৯৭১)
- স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ
- ২৬ মার্চের আরেকটি অপ্রচারিত বেতার-ঘোষণা এবং
- একজন রহস্যময় মাহমুদ হোসেন
- এক কিলোওয়াট ট্রান্সমিটারের সীমান্ত-অতিক্রম
- অপারেশন জ্যাকপট: চট্টগ্রামপর্ব
- পতেঙ্গায় প্রথম মুক্তিযোদ্ধা: বিমান-আক্রমণ
- শেষ বেলার রৌদ্রে বিজয়ের প্রান্তে
- অনন্য করুণ এক আত্মত্যাগ (১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১)
- আগ্রাবাদ হোটেলে রক্তপাতের হুমকি এবং
- বিলম্বিত পাকিস্তানি আত্মসমর্পণ (১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১)
- সর্বশেষ ঔপনিবেশিক শাসনের কবল থেকে মুক্ত হলো চট্টগ্রাম
- পরিশিষ্ট
- চট্টগ্রামের জাহাজ-নির্মাণশিল্প এবং ফ্রিগেট ডয়েচল্যান্ড (১৮৪৮)
- আমীনা খাতুন (১৯১৪)
- ফ্রিগেট ডয়েচল্যান্ড (১৮১৮)
- প্রাচীন দুর্লভ মানচিত্রে চট্টগ্রাম শহর
- জন চিপের মানচিত্রে চট্টগ্রাম শহর (১৮১৮)
- রেনেলের মানচিত্রে চট্টগ্রাম শহর (১৭৮৬)
- প্রাচীন মানচিত্রে কর্ণফুলি নদীর মোহনার বিবর্তন
- চট্টগ্রাম শহরের প্রথম বসতি
- নির্ঘণ্ট
::::::::::
উপনিবেশ চট্টগ্রাম
৫০০ বছরের ধারাবাহিক ইতিহাস
হারুন রশীদ
দ্বিতীয় সংস্করণ :
প্রথম প্রকাশ : চৈত্র ১৪২৭, মার্চ ২০২১
প্রচ্ছদ : চারুচিত্র: জেন ব্লেগ্রেইভের আঁকা কর্ণফুলি নদী (১৮৩০)
প্রকাশক : পূর্বস্বর
মূল্য : ১১০০.০০ টাকা
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম