শরচ্চন্দ্র দাস: নিষিদ্ধ তিব্বতে প্রথম বাঙালি - হারুন রশীদ

শরচ্চন্দ্র দাস: নিষিদ্ধ তিব্বতে প্রথম বাঙালি - হারুন রশীদ বইয়ের প্রচ্ছদ



উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে কলকাতা প্রেসিডেন্সিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়েছিলেন চট্টগ্রামের তরুণ শরচ্চন্দ্র দাশ। পড়াশোনার শেষ করার আগেই ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে দার্জিলিংয়ের ভুটিয়া স্কুলে প্রধান শিক্ষক হবার সাদামাটা একটা প্রস্তাব আসে, যার অন্তরালে ছিল ভিন্ন ব্যাপার। দার্জিলিং যাবার কয়েক বছরের মধ্যে তিনি জড়িয়ে পড়েন উনিশ শতকে মধ্য এশিয়ায় বৃহৎ শক্তিবর্গের মধ্যেকার দ্য গ্রেট গেমের জালে। শরচ্চন্দ্র ১৮৭৯ ও ১৮৮২ সালে হিমালয়ের দুর্গম গিরিপথ পেরিয়ে দুবার তিব্বত অভিযানে যান এবং দুর্লভ তথ্যসম্ভার নিয়ে ফিরে আসেন। বহুমাত্রিক চরিত্রের শরচ্চন্দ্র দাশ ছিলেন একাধারে শিক্ষক, গবেষক এবং সিক্রেট এজেন্ট। সেই অভিযানের ১৪০ বছর পর প্রথম বারের মতো সম্পূর্ণ শরচ্চন্দ্র দাশকে আবিষ্কারের চেষ্টা করা হয়েছে এ বইয়ে।

তিব্বতে অভিযানের সময় অসীম সাহসী অতীশ দীপঙ্করকে যেমন আমরা মনে করেছি, তেমনই বারবার মনে হয়েছে শরচ্চন্দ্র দাসের কথা।

তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম গুপ্তচর। তাঁর গুপ্তচর পরিচয় কোনো সময় জানা যায়নি। এই কারণেও শরচ্চন্দ্র দাস আমাদের কাছে এক বিস্ময়! চট্টগ্রামের মানুষ, কলকাতায় লেখাপড়া করেন। দুর্গম তিব্বতে একাধিকবার মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে মহাগোপনীয় মিশন সাফল্যের সাথে শেষ করে দার্জিলিংয়ের 'লাসা ভিলা'য় জীবন কাটিয়ে গেলেন রহস্যময় মানুষটি। এই বই শরচ্চন্দ্র দাস সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হবে।
- তারেক অণু, পর্যটক


সূত্রপাত


বেশ কয়েক বছর আগের কথা। ২০১৬ সালের মাঝামাঝিতে আমার ইতিহাস গ্রন্থ উপনিবেশ চট্টগ্রাম-এর পাণ্ডুলিপি তৈরির কাজ করছিলাম। চট্টগ্রামের অতীতের তত্ত্বতালাশ করতে গিয়ে আবদুল হক চৌধুরীর বন্দর শহর চট্টগ্রাম গ্রন্থের এক জায়গায় উনিশ শতকে শরচ্চন্দ্র দাসের তিব্বত অভিযানের সংক্ষিপ্ত একটা বিবরণী পাই। বিবরণীটি পড়ে উৎসাহিত হয়ে আরো খোঁজখবর নিতে থাকি। অনুসন্ধান করার সময় যেসব তথ্য হাতে আসতে থাকে তাতে আমার বিস্ময় ক্রমশ বাড়তে থাকে।

তাঁকে নিয়ে কাজ করার আগ্রহ তৈরি হতে থাকে। ব্যাপারটা নিয়ে আলাপ করি সুহৃদ লেখক মাসুদ করিমের সাথে। তাঁর সূত্র ধরে শরচ্চন্দ্র দাসের অনুজ কবিগুনাকর নবীনচন্দ্র দাসের এক দৌহিত্র রঞ্জন দাশগুপ্তের সন্ধান পেয়ে যাই চট্টগ্রাম শহরেই। মাসুদ ভাইকে নিয়ে একদিন তাঁর আন্দরকিল্লার বাসায় গিয়ে উপস্থিত হলাম। রঞ্জন দাশগুপ্তের সাথে আলাপ করে শরচ্চন্দ্র দাসের গ্রামের বাড়ির ঠিকানা পাই। উৎসের খোঁজে একদিন সেই প্রত্যন্ত গ্রাম ধলঘাটের আলামপুরে চলে যাই, যেখানে শরচ্চন্দ্রের শৈশব-কৈশোর কেটেছিল। আমার এক সদ্যপ্রয়াত অগ্রজ আমির ভাই পথ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।

ফিরে আসার পর ফেসবুকভিত্তিক সাহিত্যগ্রুপ 'বিস্তার লিটারেরি সার্কেলে' শরচ্চন্দ্র দাসকে নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত ফিচার লিখি। সেখানে বেশ কয়েকজন তাঁকে নিয়ে আরো বিস্তারিত লেখার জন্য উৎসাহ জোগান। একই সময়ে কাকতালীয়ভাবে নিউইয়র্ক টাইমস-এর মার্চ ২০১৬ সংখ্যার ম্যাগাজিনে শরচ্চন্দ্র দাসকে নিয়ে লেখা একটা নিবন্ধ চোখে পড়ে। যিনি নিজ জন্মভূমিতেই প্রায় অচেনা, তাঁকে নিয়ে বিশ্বের খ্যাতনামা পত্রিকায় লেখা ছাপা হওয়া অবাক হবার মতো ঘটনা। তখনই শরচ্চন্দ্র দাসের বিচিত্র কর্মযজ্ঞ নিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ লেখার পরিকল্পনা মাথায় ঢুকে যায়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের শেষভাগ থেকে।


শরচ্চন্দ্র দাস তাঁর জন্মস্থান চট্টগ্রামে বিস্মৃতপ্রায় হলেও বিশ্বের তিন হাজারেরও বেশি লাইব্রেরিতে তাঁর লিখিত গ্রন্থাবলি এখনো সুলভ। নিজের গ্রামে তিনি রাজদূত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ব্রিটিশ সরকারের প্রকাশ্য খাতায় তিনি ছিলেন শিক্ষা বিভাগের কর্মচারী, কিন্তু গোপন খাতায় তিনি একজন সিক্রেট এজেন্ট। বস্তুতপক্ষে তিনি বহুমাত্রিক চরিত্র এবং পরিচয়ের অধিকারী ছিলেন। তিনি একজন শিক্ষক ও জ্ঞানপিপাসু তিব্বত গবেষক এটি যেমন ঠিক, তেমনি তিনি ব্রিটিশ সরকারের গোপন মিশনে লিপ্ত ছিলেন, সেটাও ঠিক। তাঁকে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি দিয়েছিল ১৮৭৯ ও ১৮৮১ সালের দুটো সফল তিব্বত অভিযান। প্রকাশ্য কর্মজীবনের জন্য তিনি মাসিক বেতনের বাইরে কিছু না পেলেও গোপন মিশনে সাফল্যের কারণে তিনি রায় বাহাদুর উপাধি, মহারানি ভিক্টোরিয়া প্রদত্ত সিআইই খেতাব, রৌপ্য পদকসহ বহুবিধ সম্মাননা ও পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। চট্টগ্রাম শহরের দেব পাহাড়ের জায়গাটিও তাঁকে উপহার দেয়া হয়েছিল। তাঁর সফলতার কাহিনি ভারতবর্ষ ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়েছিল।

তাঁকে উনিশ শতকের জেমস বন্ড বলা হয়ে থাকে। যদিও বন্ডের মতো গোপন মিশনে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁকে কখনো গোলাগুলি করতে হয়নি কিংবা গোলাগুলির মুখোমুখিও হতে হয়নি। তাঁর কোমরের ব্যাগে লুকোনো রিভলবারটি অব্যবহৃতই ছিল প্রায়। তিনি তাঁর তিব্বতি ভাষাজ্ঞান, অভিনব ছদ্মবেশ, নিখুঁত অভিনয়, নিজস্ব বুদ্ধি বিবেচনা এবং তাৎক্ষণিক বিচক্ষণতার প্রয়োগ ঘটিয়ে কাজ হাসিল করেছেন। সর্বোপরি তাঁর স্বতন্ত্র কূটনৈতিক দক্ষতাই ছিল মিশনের সফলতার মূলমন্ত্র।

যে কালে কোনো বাঙালি দার্জিলিং সিকিমের পাহাড়ের চূড়ায়ও ওঠেনি সেই কালে তিনি দুর্গম হিমালয় পর্বত অতিক্রম করে ব্রিটিশ সরকারের গোপন মিশন নিয়ে দুবার তিব্বত অভিযানে গিয়েছিলেন। ১৮৭৯ ও ১৮৮১ সালের সেই দুই অভিযানে তিনি যেমন সরকারের জন্য গোপনীয় তথ্য নিয়ে এসেছিলেন, সেই সাথে ভারতবর্ষের জন্য নিয়ে এসেছিলেন বহু দুর্মূল্য প্রাচীন পুঁথিপত্রের পাণ্ডুলিপি। যেসব গোপন তথ্য তিনি নিয়ে এসেছিলেন তার জন্য ব্রিটিশ সরকার অর্ধশতাব্দী ধরে তিব্বত অভিমুখে একের পর এক মিশন পাঠিয়ে গিয়েছিল। সেইসব মিশনের সর্বশেষ এবং সফলতম অভিযাত্রী ছিলেন শরচ্চন্দ্র দাস। শোনা যায়, রুডইয়ার্ড কিপলিং-এর কিম উপন্যাসটির অংশবিশেষ তাঁর অভিযানের ওপর ভিত্তি করে লেখা।


অভিযানের সফলতার জন্য শরচ্চন্দ্র দাসকে পুরস্কৃত করা হলেও শুরুতে সেই অভিযানের বিবরণগুলো গোপন রাখা হয়েছিল। তিব্বত নিয়ে ব্রিটিশ পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবার পর ১৯০২ সালে রয়েল জিওগ্রাফিক সোসাইটি থেকে প্রকাশ করা হয় Journey to Lhasa and Central Tibet নামে একটি সম্পাদিত গ্রন্থ। সম্পাদনা এবং ভূমিকা লেখার দায়িত্বে ছিলেন W.W. Rockhill, যিনি নিজেও তিব্বতে গিয়েছিলেন পরবর্তীকালে। রকহিল সম্পাদিত এই গ্রন্থটি সারা বিশ্বে প্রচারিত হয় যা এখনো পর্যন্ত শরচ্চন্দ্র দাসের অভিযানের ওপর প্রকাশিত একমাত্র অফিশিয়াল বিবরণ। কিন্তু সেই গ্রন্থে শরচ্চন্দ্রের অভিযানের গোপনীয় বিবরণগুলো কেটে বাদ দেয়া হয়েছিল।

শরচ্চন্দ্রের অভিযানের সম্পূর্ণ বিবরণ ছিল কেবল সরকারের কাছে দাখিলকৃত রিপোর্টগুলোতেই। ১৮৭৯ এবং ১৮৮২ সালে তিব্বত থেকে ফেরার পর শরচ্চন্দ্র দাসের পেশকৃত বিবরণগুলো সরকার শুধু নিজেদের কাজে ব্যবহার করার জন্য ছাপিয়েছিল কলকাতার 'বেঙ্গল সেক্রেটারিয়েট প্রেস' থেকে। সেই বিবরণগুলো কখনোই জনসমক্ষে আসেনি। 'কনফিডেনশিয়াল' সিল মেরে সরকারি দফতরেই আড়াল করে রাখা হয়েছিল।

বেঙ্গল সেক্রেটারিয়েট প্রেস থেকে তাঁর ১৮৭৯ সালের প্রথম অভিযানের বৃত্তান্ত ছাপানো হয়েছিল ১৮৮১ সালে। শিরোনাম ছিল Narrative of a Journey to Tashilhunpo in 1879, ভূমিকা লিখেছিলেন A.W. Croft, যিনি শরচ্চন্দ্র দাসের অভিযানের প্রাথমিক তত্ত্বাবধায়ক এবং অনুমোদনকারী। প্রথম অভিযানের বিবরণ ছাপানো হয়েছিল মাত্র ২৫ কপি। শরচ্চন্দ্রের দ্বিতীয় অভিযান ১৮৮১-৮২ সালের বৃত্তান্ত প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৮৫ সালে। শিরোনাম ছিল Narrative of a Journey to Lhasa in 1881-82, ভূমিকা লিখেছিলেন শরচ্চন্দ্র দাস নিজেই। দ্বিতীয় অভিযানের বিবরণ ছাপানো হয়েছিল মাত্র ১০০ কপি।

তিব্বত বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের অতি সংবেদনশীলতার কারণে এই বিবরণীগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। তবে আরো একটি কারণ থাকতে পারে। দ্য গ্রেট গেমের প্রতিপক্ষ রাশিয়ার কাছে যেন এসব তথ্য কিছুতে না পৌঁছায়। তা সত্ত্বেও ১৮৯০ সালের পর গোপনীয়তা কিছুটা শিথিল হবার পর এই বিবরণের অনুলিপি গোয়েন্দা মারফত সেন্ট পিটার্সবার্গেও পৌঁছে গিয়েছিল বলে শোনা যায়। আরো অর্ধশতক পর ভারতবর্ষ ব্রিটিশ শাসনের কবল থেকে মুক্ত হবার পর পুরোনো নথিগুলোর ব্যাপারে তেমন কেউ খোঁজ রাখেনি। ইতোমধ্যে পৃথিবীতে দুই দুটো মহাযুদ্ধ হয়ে যায়, চীনা আগ্রাসনে খোদ দালাই লামা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন, ভারতবর্ষে দুটো স্বাধীনতার ঘটনা ঘটে যায়। এতসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আড়ালে তলিয়ে যান উনিশ শতকের ব্রিটিশ এজেন্ট SCD বা শরচ্চন্দ্র দাস।

8
শরচ্চন্দ্র দাসের অভিযান নিয়ে ভারত থেকে একাধিক পুস্তক প্রকাশিত হয়েছে বাংলা ও ইংরেজিতে। পরিমল ভট্টাচার্যের সাংগ্রিলার খোঁজে ডকুফিকশনটার বড় অংশ জুড়ে আছে শরচ্চন্দ্রের তিব্বত অভিযানের গল্প। তাছাড়া দেবাংশু দাশগুপ্তের একটি অনুবাদ আছে তিব্বতে দুবার শিরোনামে। নামের মধ্যে যদিও 'দুবার' লিখেছেন, তিনি শুধু ১৮৮২ সালের দ্বিতীয় অভিযানের অনুবাদ করেছেন। প্রথম অভিযান নিয়ে কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু এই গ্রন্থগুলো ১৯০২ সালে রয়েল জিওগ্রাফিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক সেন্সর করা সংস্করণ থেকে লিখিত। ফলে সেখানে অভিযানের সম্পূর্ণ বিবরণ অনুপস্থিত। যতদূর জানা যায় শরচ্চন্দ্র দাসের মূল এবং গোপনীয় বিবরণী অনুসারে ইংরেজি কিংবা বাংলা ভাষায় এ-যাবৎ আর কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। অতএব শরচ্চন্দ্র দাস নিষিদ্ধ তিব্বতে প্রথম বাঙালি সেই অভিযানের আসল বিবরণগুলো নিয়ে প্রকাশিত একমাত্র গ্রন্থ হবার সম্ভাবনা।

এখানে শরচ্চন্দ্র দাসের সেই দুটি ভ্রমণের বিবরণ ছাড়াও তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য অর্জন এবং বঞ্চনা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। শরচ্চন্দ্র দাসের তারুণ্যে দুঃসাহসী অভিযানের জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে গর্বিত হবার মতো অর্জন যেমন আছে, তেমনি মধ্যবয়সে সেই একই সরকারের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন উপেক্ষা। সব মিলিয়ে সম্পূর্ণ শরচ্চন্দ্র দাসকে উপস্থাপন করাই আমাদের লক্ষ্য। আশা করা যায় একুশ শতকের পাঠক উনিশ শতকের এক বাঙালি অভিযাত্রীর চোখে প্রথমবারের মতো হিমালয় অতিক্রমের বিরল ও বৈচিত্র্যময় কিন্তু কষ্টসাধ্য অভিজ্ঞতার রস আস্বাদন করতে সক্ষম হবেন।
- হারুন রশীদ, চট্টগ্রাম, জানুয়ারি ২০২৪


সূচি


  • প্রেসিডেন্সি কলেজের সেই ছাত্র
  • প্রথম অভিযান: তাশিলুম্পো ১৮৭৯
  • ১. দার্জিলিং থেকে সিকিম
  • ২. সিকিম থেকে জংরি
  • ৩. জংরি থেকে কাংপাচেন
  • ৪. কাংপাচেন থেকে থেকং
  • ৫. থেকং থেকে নাম-বু-জং-লা
  • ৬. নাম-বু-জং-লা পর্বত থেকে তাশিলুম্পো
  • ৭. তাশিলুম্পোর প্রথম তিন দিন
  • ৮. মন্ত্রী সেংচেন দোরজেচানের সাক্ষাতে
  • ৯. তাশি লামার সাক্ষাৎ পর্ব
  • ১০. সেংচেন দোরজেচানের জ্ঞানতৃষ্ণা
  • ১১. তাশিলুম্পোর উৎসবে
  • ১২. প্রধান লামার সাক্ষাতে
  • ১৩. তাশিলুম্পোতে ছড়ানো রাশিয়ান গুজব এবং অন্যান্য
  • ১৪. বিবিধ অনুসন্ধান ও আতিথেয়তা
  • ১৫. ডাক্তারি বিদ্যা প্রয়োগ
  • ১৬. মন্ত্রীর জ্ঞানতৃষ্ণা
  • ১৭. মন্ত্রীর জ্ঞানতৃষ্ণার দ্বিতীয় পর্ব
  • ১৮. একটি তিব্বতি ছুটির উৎসব
  • ১৯. লিথোগ্রাফ মেশিনে আগ্রহ
  • ২০. প্রধান লামার নিরীক্ষা
  • ২১. তাশিলুম্পোর উৎসব চিত্র
  • ২২. প্রধান লামার আস্থা
  • ২৩. সাংপো নদীর তীরে
  • ২৪. প্রাচীন পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ
  • ২৫. বিদায় তাশিলুম্পো, আবার দেখা হবে
  • ২৬. টারগে অঞ্চলে ডাক্তারি বিদ্যা প্রয়োগ
  • ২৭. নীলাভ স্বর্গ গাইলিং লা
  • ২৮. সাংগ্রিলার পথে সিপাহি বিদ্রোহের সংবাদ
  • ২৯. কুরমা নদীর ধারে
  • ৩০. ডংকিয়া গিরিপথের উদ্দেশে
  • ৩১. তিব্বতের শেষ গ্রাম
  • ৩২. ডংকিয়া গিরিপথে
  • ৩৩. লাচুং নদী পেরিয়ে
  • ৩৪. সিকিমের ফাঁদ এড়িয়ে দার্জিলিং
  • প্রথম ও দ্বিতীয় অভিযানের মধ্যবর্তীকাল
  • ১. উল্লেখযোগ্য কয়েকটি তারিখ
  • ২. প্রথম অভিযানের রিপোর্ট
  • ৩. দ্বিতীয় অভিযানের প্রস্তাব এবং চুক্তি
  • দ্বিতীয় অভিযান: লাসা ১৮৮১
  • ১. দার্জিলিং থেকে দ্বিতীয় যাত্রা
  • ২. পার্বত্য বিপদের মুখোমুখি
  • ৩. ফুরচাং-এর গ্রামে
  • ৪. কাংপাচান থেকে যাত্রা শুরু
  • ৫. পথ হারাল ভয়ংকর অন্ধকারে
  • ৬. কাংপাচান থেকে তাশিলুম্পো
  • ৭. পথের বাণিজ্য ক্যারাভান পেরিয়ে তাশিলুম্পোর কাছে
  • ৮. তাশিলুম্পো নগরীতে অবস্থান
  • ৯. চীনা দূতের অমানবিকতা
  • ১০. গিয়ানসে দর্শন
  • ১১. রাজপুরুষের অবহেলিত পুত্রবধূ
  • ১২. উগেনের সীমান্ত যাত্রা
  • ১৩. তিব্বতের প্রথম লিথোগ্রাফ মেশিন
  • ১৪. মন্ত্রী দোরজে চানের মহাকাশ ভাবনা
  • ১৫. ভারতীয় পুস্তক আবিষ্কার
  • ১৬. নববর্ষের আয়োজন
  • ১৭. লাচামের সাথে পরিচয়
  • ১৮. লাসা যাত্রার প্রস্তুতিপর্ব
  • ১৯. লাচামের সাথে লাসা যাত্রা
  • ২০. ভয়ানক অসুস্থতার কবলে
  • ২১. সুস্থ হয়ে লাসা যাত্রা
  • ২২. অবশেষে স্বপ্নের লাসা
  • ২৩. লাসা নগরীতে প্রবেশ
  • ২৪. লাসার সৌন্দর্যে অবগাহন
  • ২৫. বর্তমান দালাই লামার ইতিবৃত্ত
  • ২৬. লাসা শহরে লাচামের বাড়িতে
  • ২৭. দালাই লামার সন্দর্শনে
  • ২৮. লাসা থেকে ডংসে ফেরা
  • ২৯. ডংসে ফিরে যাওয়া
  • ৩০. তাশিলুম্পো থেকে দার্জিলিং
  • তিব্বত অভিযানের পর
  • ১. তিব্বতের প্রতিক্রিয়া, মন্ত্রী সেংচেন দোরজেচানের প্রায়শ্চিত্ত এবং সাজা
  • ২. জাপানি লামা একাই কাওয়াগুচির বিবরণ
  • ৩. শরচ্চন্দ্র দাসের পিকিং মিশন ১৮৮৫
  • ৪. বেলা শেষ
  • ৫. শরচ্চন্দ্র দাসের পারিবারিক পরিচয়


::::::::::

শরচ্চন্দ্র দাস: নিষিদ্ধ তিব্বতে প্রথম বাঙালি
উনিশ শতকে তিব্বত নিয়ে গোপন ব্রিটিশ পরিকল্পনা এক দুঃসাহসী বাঙালির তিব্বত অভিযান ১৮৭৯ ও ১৮৮১
হারুন রশীদ

প্রকাশক : বাতিঘর
প্রথম প্রকাশ: ফাল্গুন ১৪৩০, ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রচ্ছদ : সব্যসাচী হাজরা
মূল্য : ৮০০ টাকা

মতামত:_

0 মন্তব্যসমূহ