ফজলুল কবিরী’র ‘ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া গল্প’: যে গল্প যায় না দেওয়া উড়িয়ে- ইয়ার ইগনিয়াস

ফজলুল কবিরী’র ‘ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া গল্প’: যে গল্প যায় না দেওয়া উড়িয়ে- ইয়ার ইগনিয়াস
ফজলুল কবিরী’র ‘ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া গল্প’
যে গল্প যায় না দেওয়া উড়িয়ে
- ইয়ার ইগনিয়াস


ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া গল্প
ফজলুল কবিরী
প্রকাশকঃ জেব্রাক্রসিং প্রকাশন, ঢাকা।
প্রচ্ছদ: রাজীব দত্ত
প্রকাশকালঃ বইমেলা ২০১৮
মূল্যঃ ১৬০.০০ টাকা।
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৭২
ISBN: 9789848094112

'ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া গল্প' হলেও গল্পগুলোকে কিংবা গল্পের কথাকে অন্তত ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না এই কথা হলফ করে বলতে পারি। 'মানুষজন্মের বেড়ি'তে কথকের সাথে কথকের ছায়ার কথোপকথনে ছায়া এভাবেই উড়িয়ে দিতে চেয়েছেন প্রজন্মের ভাবনাকে। শাহবাগ যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে সোচ্চার, একের পর এক উইকেট যখন পড়তে থাকে তখন, কাছেই কে যেন ফিসফিসিয়ে বলে- "জাহান্নাম খুব বেশি দূরে নয়। প্রস্তুত হও জয়বাংলার বাচ্চা।" আর তখন ছায়ার মাথায় হাত বুলিয়ে কথক বলেন- "এই যুদ্ধে তারপরও আমরাই জিতব।" আমরা আসলে কতটুকু জেতেছি?"এসব পশুর চামড়া দিয়ে এদেশের মানুষ একদিন জুতো সেলাই করবে" হ্যাঁ - হয়তো দাদার এ ভবিষ্যদ্বাণী সামান্য প্রতিফলিত হয়েছে। কিন্তু ঘরে ঘরে যে নব্য রাজাকারের ছাওয়ালেরা পথে, ঘাটে, শপিংমলে, রেস্তোরায়, বইমেলায়, সমাবেশে যে উৎপেতে আছে! অভিজিৎ ও দীপন দা চলে গেলেন অচিন পুরে। তার বিচার তো দূরের কথা সামান্য তদন্ততদারকীও চোখে পড়েনি তেমন। মানুষজন্মের এমন স্খলন খুব ব্যথিত করে নিজেকে, তবুও ছায়াকে সঙ্গী করে স্বপ্ন দেখি- ধর্মের সামাজিক দেয়াল একদিন ভেঙে দেব।

এমন সব মন জাগানো বারোটি গল্পের সংকলন 'ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেয়া গল্প'। লেখক- ফজলুল কবিরী। এটা তার দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ। ছোটগল্প নিয়ে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংবেদনশীল পাঠক মাত্রই জানেন। তিনি মূলত পেছন থেকে গল্প বলে যান, কোন কিছু উপেক্ষা করেন না, তবুও কোন বিরক্তি আপনাকে ছুঁবে না। বরং নতুন করে জেগে ওঠবেন কথার সম্মোহনী শক্তিতে, কথার পরশপাথরে। 'জোছনা ও আত্মজা' গল্প পড়ে চমকে ওঠতে হয়। শুধু সুজানগর ইউনিয়ন নয় পুরো বাংলাদেশের সকল ইউনিয়নের সফল চিত্রায়ন করেছেন লেখক। গ্রামীন ইট-বিছানো রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে কখনো মেহগনির শান্ত ছায়ায় জিরিয়ে নেওয়ার ছলে চোখ বন্ধ করে কিছু একটা শোনার ভান করুন, আমি নিশ্চিত আরও হাজার হাজার বজলু মন্সী ও জোছনার দেখা পাবেন, যে কাহিনী বাতাস বয়ে বেড়াচ্ছে বহুদিন। এ ভারী বাতাস আপনাকে সজাগ করবে নিমিষে, সমাজে চিরুনি-চালান করলে এমন বজলুর এখনও ভুরি ভুরি পাওয়া যাবে, যে কি না সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়া এক মহিলার আত্মজাকে বিয়ে করে, আবার শহরের ঘুপচিতেগুলোতেও কাটিয়ে দিত সপ্তাহের অর্ধেক। এদের বয়কট করার দায়িত্ব আপনার, সমাজ বিনির্মাণ যেহেতু আপনার স্বপ্ন।

জেব্রাক্রসিং প্রকাশনী বইটি চলতি বছরের বইমলায় আমাদের উপহার দেয়। বইটির মুদ্রিত মূল্য- ১৬০টাকা।

চলুন পাঠক 'উরু ও অস্থির আখ্যান'-এ ঢুকে পড়ি। অদ্ভুত অন্ধকার। মাথা ঝিম ধরে আসে। আহা! কী নিদারুণ বাস্তবতা! কোন এক মাস্টারের ঔরসে জন্ম নেয়া কুমারী মায়ের ছেলে, বাড়ীর পুরনো চাকর আয়নালের সাথে মায়ের বিয়ে হলে, নতুন বাপ নিজের নামের সাথে মিল রেখে তার নাম রাখে জয়নাল আবেদীন। জন্মের দুবছরেও তার কোন নাম ছিল না। বড় হয়ে তার জন্মপরিচয় জানার পর সে আর গৃহমুখী হয়নি, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পাঠ চুকানের আগেই বন্ধুর অপকর্মের শিকার সহপাঠীকে বিয়ে করে তাকে মুক্তি দেয়। তার ষোলো বছর পর একমাত্র মেয়েটিও বখে যায়, এডিক্টেড হয়ে যায়, এরপর নিঁখোজ। অনেক খোঁজাখু্জির পর না পাওয়া মেয়েকে হঠাৎ একদিন দেখে ফেলে শহরের এক অভিজাত হোটেলে কারও বাহুবন্ধনে অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর কালে! যে কি না ক্লান্তি মুছতে গিয়েছিল ওখানে, প্রায়ই যায়। এমতাবস্থায় তার ভেতরে ভয়ঙ্কর ভাঙচুর শুরু হয়, যা বায়ান্ন, চুয়ান্ন, চৌষট্টি, চুরাশিকেও ভুলিয়ে দেয়। আর ভাবি- পাপ বাপকেও ছাড়েনা।

'অজাতপুরুষ' গল্পটি বইটির সর্বোৎকৃষ্ট গল্প।যা সুশীল সমাজকে ঠাস্ করে মারা একটি থাপ্পর। যুদ্ধাপরাধের বিচার যখন ইন্ডিয়ার উস্কানি বলে ধরে নেয় আল্লার ঘরের দেশে খেটে খাওয়া ছেলের বাবারা, তখন ষাটোর্ধ্ব বিমল ধোপারও শুনতে হয় 'মালাউনের জাত'! সংখ্যালঘুতাই যেন আজন্ম পাপ! তারপর 'প্রাচীন রক্তের সুবাস' নিয়ে এগুতে থাকি। একাত্তরের সংগ্রামে যে হিন্দু-নারীভোগ আমরা দেখতে পেয়েছিলাম হুমায়ুন আজাদের 'পাক সার জমিন সাদ বাদে'; তা এখানেও দেখতে পাই। বনিলাল দত্ত একটা স্কুলে পড়ায়, বৃদ্ধ। তার মেয়েও ওই স্কুলের শিক্ষয়ত্রী। যুদ্ধের রাতে তার বাবাকে রাজ্জাক মোবারকের দল ধরে নিয়ে গেলে, মেয়ে বাবার প্রাণ ভিক্ষার জন্য যায়। রাজ্জাক ও রাজ্জাকের বাহিনীর লোলুপতা তার শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে হুল ঢুকায়। কিন্তু খঁয়ের খাঁর খানিকটা দয়া পরবশে বাবা বেঁচে গেলেও নিজের সম্ভ্রম হারাতে হয় তাকে এবং চলতে থাকে এ নির্যাতন । হালদার তীরে যখন নতুন পতাকা ওড়ে তখন, রাজ্জাকের গলিত লাশ পাওয়া যায় দূরে। আর খঁয়ের খাঁকে ধরে এনে প্রকাশ্যে তার শিশ্ন কেটে নয় বনিলাল দত্তের পরিবার। এমন শাস্তি আমরা দেখেছি হুমায়ূন আজাদের 'কবি অথবা দণ্ডিত অপুরুষে'। তার পর তার নপুংসক জীবন নিয়ে বেঁচে বর্তে থাকে। আর যেদিন মারা গেল, তার মৃত্যু সংবাদ প্রচার করার লোকও জুটল না, শুধু পাশের ঘরের মনু মিয়া ছাড়া। প্রকৃতির প্রতিশোধ এমনই নির্মম।

গল্পটিতে ধর্মীয় বিষয় আশয় উঠে এসেছে। যেমন: মূর্দার গোসল ফরজ, কেন ফরজ, গোসল করানোর নিয়ম এসব। বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারলে ভালো হতো, কেননা আমরা প্রত্যেকেই আদম কিংবা এ্যাডামের বংশধর। তবে মূর্দার গোসলের যে নিয়মটা দেখানো হয়েছে তা মুসলিম সম্প্রদায়ের। অন্যান্যদের কথা এখানে আসেনি। অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা অন্য ভাবে পালন করেন। একটি অতৃপ্ত আত্মা পায়চারী একটা ভৌতিক আবেশ তৈরী করে বৈকি। তার বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই। এমন একটা জিনিস প্রতিষ্ঠা করতে যাওয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যুগের অংশ হিসেবে অামি অসমর্থন করি, আর দোয়া ইউনুছের মাজেজা লেখক ভালো জানবেন। লেখক গল্পটা বলতে পরাবাস্তবতার আশ্রয় নিয়েছেন। এবং শেষে গিয়ে খঁয়ের খাঁর অতৃপ্ত আত্মা কবরস্থানের পরিচিত কবরগুলো যখন খুঁড়ে দেখেন, সেখান থেকে ভুর ভুর করে প্রাচীন রক্তের সুবাস আসতে থাকে। যারা কি না ইসলামের জন্য স্বদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ছিল।

'আগন্তুক, কুকুর ও কোলাহল' গল্পে লেখক একটি কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে আরেকটি প্রচলিত বিশ্বাসকে লালন করেছেন। হিন্দু-ছেলেটি রোজার দিনে সিগারেট টেনে গাড়িতে ওঠার সাথে সাথে একটু আগে আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যে কুকুরটিকে লাথি মেরেছিলো, সে কুকুরটিও তার সাথে গাড়িতে ওঠে পড়ে। এটাকে লোকে অনাস্তি কর্ম হিসেবে দেখছে। কখনও যাত্রী, কখনও হেল্পার, কখনও কন্ডাকটর আবার কখনও বাসের চালকের কোলে গিয়ে বসে কুকুরটি। বাসের সবাই আল্লাহ আল্লাহ বলে জিকির ও উচ্চাওয়াজে অন্যান্য দোয়া দরূদ পড়লে কুকুর আবার সুযোগ বুঝে কারও ক্ষতি না করে খোলা দরোজা দিয়ে বেরিয়ে যায়। এ জিনিসটা অদ্ভুদ।

'সেটেলার' গল্পটিতে পার্বত্য অঞ্চলের আদি ও বর্তমানকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। সুবিধা বঞ্চিত এ জনগোষ্ঠী কেন শান্তি কমিটি গঠন করেছে? কেন স্বাধীনতাকামী হয়ে ওঠেছে? কেন খুন, হত্যা, গুম পাহাড়িদের কাছে নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে? কেনইবা পাহাড়ে অন্য জনগোষ্ঠীরে পূনর্বাসন করে পাহাড়ীদের সংখ্যালঘু করা হয়েছো? এ কী রাজনৈতিক কারণে নয়? এ সব প্রশ্নের উত্তর খুব সাবলীলভাবে গল্পটিতে বিধৃত হয়েছে। ইতিহাসাশ্রয়ী এ গল্পটি বইটির অন্যতম শ্রেষ্ঠগল্প।

পাহাড়ি নারীরা পাচারের শিকার বহুদিন আগে থেকে। এমন সত্যও উঠে এসেছে 'অজগরের খোলস' নাম্নী গল্পটিতে। কদিন পর পরই শোনা যায় ওর মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না, পাহাড়ি ডাইনিরা নিয়ে গেছে এরকম কাহিনী। অথচ শহরের অভিজাত হোটেল ও ত্রিপুরায় খোঁজ করলে তাদের দ্বিতীয় ভার্সন তথা পুনর্জন্মের খবর পাওয়া যায়। এই পাহাড়ি প্রেতিনী কিংবা পাহাড়ি ডাইনিদের কাহিনি পাচার সংলিষ্ট কর্তাদেরই সৃষ্টি। তার গল্পের ভাষা, ভাষার মাধুর্যতা ও ভাষার প্রবহমানতা নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। আমি তার গল্পের মুগ্ধ পাঠক মাত্র। তার গল্প বলার ঢং প্রচলিত গল্পভাষাকে উপেক্ষা করে। এটা তার নিজস্ব স্বর তৈরীর শ্রমজ চেষ্টা। এ চেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।

'কচি ইঁদুরের রক্ত' গল্পটি কেবলই একটি গল্প। ছোটবেলায় একটা প্রবাদ প্রায় শোনা যেত লোকমুখে, পরের জন্য গর্ত খুড়লে, নিজেকেই ওই গর্তে পড়তে হয়, ওই রকম একটা ম্যুরাল পাই গল্পটিতে। কচি ইঁদুরের রক্তে হল্লা করতে করতে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনে টগরের বাপেরা। অপর দিকে ছেলে চিল্লায়ে গলা ফাটালেও ওদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ ছিলো না তাদের। অথচ পরক্ষণেই চিলতে আগুন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। দিকপাশ ঝলসে ইঁদুরপালের দৌড়, যেন খুবলে খাবে আবু জাফর কে।

'গিলাফ ফকিরের খিলাফত' তার উজ্জ্বলতম কাজ। সমাজের মোড়ল, পাবলিক নেতা, মন্ত্রি, এমন কি রাষ্ট্রপতিদের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা ও তাদের ছত্রছায়ায় গজে ওঠে একেকটি ভণ্ড বাবার মাজার। তার আশেপাশের লোকেরাই এই খিলাফতের গুনগার। ওখানে সেবার নামে নিয়ে যাওয়া কুমারীদের সতীত্ব হরণ করে ছেড়ে হয়, এবং এইসব সেবিকাদের একটা আলাদা বাজার আছে বিয়ের ক্ষেত্রে। তাড়াতাড়ি ও অবস্থাসম্পন্ন ঘরে বিয়ে হয়ে যায় ওদের। তাদের দেখাদেখি অনেকে নিজের মেয়েকেও নিয়ে যায় দ্রুত ও ভালোঘরে বিয়ে হওয়ার জন্য। তারা ফকিরের সেবা নিয়ে চলে আসে, এবং শেখানো বুলি অনুসরণ করে। এভাবে তার অনুসারী বাড়ে। চট্টগ্রামকে বলা হয় বারো আউলিয়ার দেশ, আর এই উপমহাদেশে তিনশ ষাটটি মাজার রয়েছে। প্রত্যেকটিতে না হলেও বেশির ভাগই 'গিলাফ ফকিরের খিলাফতে'র মতো অনিয়মই চলে, স্থানীয় ও জাতীয় নেতার বাহুতলে। এমন প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে এমত সত্য উচ্চারণ করার লোক সত্যি বিরল। এমন কাজের জন্য লেখককে ব্যক্তিগত ভাবে স্যালুট জানাই।

'বাঘের চোখ' একটি চিরন্তন ও অনন্তকালব্যাপী প্রবহমান গল্পের প্লট। যেখানে অনায়াসে উঠে আসে -খানাখন্দে ভরা প্রধান সড়কের চিত্র, অপরিকল্পিত বিদ্যুত ব্যবস্থাপনা, সরকার দলীয় ক্যাডারদের হাতে বিশ্বজিৎ হত্যা, রাষ্ট্রের অতন্দ্র প্রহরীর ক্যান্টনমেন্টে তনু হত্যা, পাহাড়ি কল্পনা চাকমা হত্যার বিচারহীনতা কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিতদের ফান্ড থেকে আত্মসাতের কথা। এভাবে ধরণীর ধ্বংসকাল পর্যন্ত যত অনিয়ম ও অন্যায় হবে তা সরলরৈখিক ভাবে বলা যাবে। কী অসাধারণ চিত্রকল্পের ভেতর দিয়ে সমাজের অনিয়ম, প্রশাসনের অবহেলাকে ও সরকার দলীয় নেতাদের দৌরাত্ম চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন লেখক।

দিনশেষে কৃতকর্মের ফল স্বরূপ আত্মশুদ্ধির জন্য ছোট ডায়নোসর তথা টিকটিকির খামারে নিজেকেও একবার আবিষ্কার করতে চাইলে এখনই পড়ে ফেলুন এই নান্দনিক গল্পগ্রন্থটি। আরও নান্দনিক ও আরও আরও চমৎকার গল্পের সংকলন আমাদেরকে এটাই কাম্য। প্রিয় পাঠক বইটি সংগ্রহ করুন। বইটির বহুল প্রচার ও বহুল বিক্রি কামনা করছি। বই সবচেয়ে কাছের ও বিশ্বস্ত বন্ধু। বইয়ের সাথেই থাকুন।

মতামত:_

0 মন্তব্যসমূহ