জন্মান্তরিত হবো কোনো নভোগৃহে - মিজান খন্দকার

জন্মান্তরিত হবো কোনো নভোগৃহে - মিজান খন্দকার

আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম কণ্ঠস্বর মিজান খন্দকার। তাঁর শিল্পবোধ, শব্দশৈলী, উপমাভঙ্গি সাহিত্যপ্রবণ পাঠককে কবিতার প্রতি মনোযোগী করে তোলে। পাঠক অর্জন করেন এক অনাস্বাদিত চেতনাপ্রবাহে অবগাহনের অনুভূতি। বাংলা কবিতার শরীরে অন্যস্বরের যোজনা সাবলীল হয়ে উঠেছে তাঁর কবিতায়। প্রথম কাব্য 'যথাকবি নিরঞ্জন' দিয়েই তিনি শিল্পসচেতন পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। দ্বিতীয় কাব্য তাঁকে দিয়েছে অমরত্বের স্থিতি। নান্দনিক মূল্যবোধের প্রতি ছিল তাঁর অকপট দায়িত্ববোধ। তাই রচনা প্রাবল্যের শব্দস্রোতে গা এলিয়ে দেননি। নিপুণ মনোযোগে বাছাই করেছেন যথাযথ শব্দ, আবেগের আকুল স্পর্শ দিয়ে নির্মাণ করেছেন কবিতার শরীর। আর তাই তাঁর সৃষ্টকর্ম পরিণত হয়ে উঠেছে স্বরসঙ্গতির আলোকিত প্রদীপে।

বইয়ের প্রথম ব্লার্বে কবি ও শিল্পী টোকন ঠাকুর বলেন-

কাব্যের সৌন্দর্য নির্মাণে মিজান খন্দকার বাংলা কবিতায় ইতোমধ্যেই এক নিমগ্ন ভাষার জন্ম দিয়েছেন। … নিরন্তর বদলে যাওয়া বাংলা কবিতার শব্দ-বাক্য-ভঙ্গিতে মিজান খন্দকার একজন সমুজ্জ্বল কবি।


“জন্মান্তরিত হবো কোনো নভোগৃহে" কাব্যে কবিতা রয়েছে মোট ৩৭টি। কবিতাগুলোর শরীরে কবির ভাবচেতনার বিবরণ স্পষ্ট। কাব্যের নামেও কবির মনোভঙ্গির একটি বিশিষ্ট পরিচয় মেলে। তিনি সমকালের সামাজিকতায় সাবলীল নন। প্রত্যাশা করেন অন্য মাত্রার এক কাঙ্ক্ষিত জন্মান্তরের। তাঁর উপস্থাপনাশৈলী নান্দনিক, আকর্ষণীয়; যার পরিচয় প্রথম কবিতাতেই দৃশ্যমান।

‘প্রথম বিশ্বের দোষ-ত্রুটি এসে লাগে শীতাইঝাড় গ্রামেও" – কবিতাটিতে বাংলাদেশের প্রান্তবাসী ক্ষুধাপীড়িত মানুষ যেভাবে আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রভাবে আলোড়িত হয় সে চিত্র এঁকেছেন। ক্ষুধাবাস্তবতা যার নিত্য জীবনসঙ্গী- সেও আজকাল নিয়ন্ত্রিত হয় বিদেশের কার্যপ্রভাবে। ফলে বিচ্যুত হয় মননচিন্তা; খসে পরে স্বপ্নমৈত্রী। কবি স্বগতোক্তির মতো করে উচ্চারণ করেন-

ন্যায্য ও অন্যায্য বিধান যদিও তারা বোঝে-
কেবল বোঝে না যুদ্ধ ও ক্ষুধা আসে কোত্থেকে? পৃষ্ঠা-৯


কবি বেশ কিছু কবিতার ছত্রে ছত্রে সাজিয়ে রেখেছেন নিজের জীবনবিবরণ। শৈশব কৈশোরে চট্টগ্রাম অঞ্চলে যাপিত সময়কে বিস্মৃতির অতল থেকে তুলে এনেছেন। প্রতিদিনের টুকরো টুকরো ঘটনাগুলোকে অবিকল রেখে রাঙিয়ে তুলেছেন শব্দের শৈলী দিয়ে। 'রাঙ্গামাটি' শিরোনামের চারটি কবিতায় তিনি ফিরে যান কৈশোরের বর্ণিল দিনগুলোতে। এক স্বপ্নীল আবেগে রচনা করেন একের পর এক অনিবার্য ও উষ্ণ পংক্তিমালা। পরিণত বয়সে এসে তাঁর মনে পরে-

আমিও জন্মেছিলাম নদীতে, কিংবদন্তীর জলে।
অতলের মেয়েরা সেদিন
বুক থেকে নীল আগুন ছড়িয়ে
দিয়ে নেচেছিল জলগৃহে। - রাঙ্গামাটি-এক, পৃষ্ঠা -২৫


দুরন্ত কৈশোরের কথা মনে করে উচ্ছল হয়ে ওঠেন তিনি। এই পড়ন্ত বেলায় এসে জীবনের ফলাফল নিয়ে কিছুটা যেন পরাজয়প্রবণ হয়ে ওঠেন। মনে করেন, এ জগতের চলার পথ সাবলীল নয়। কবির নিজভাষ্যে মনে হয়, তিনি আজকের ব্যাকরণহীন অন্ধকার সময়ে সেইসব আলোকিত দিনের দৃশ্যভষ্ম ঘেঁটে রঙিন ছবিগুলোকে জাগিয়ে তুলতে চান। তাঁর এই প্রত্যাশা মানবেতর নয়। কারণ সময়ের গতিপথ প্রকৃতিতে একই ধারায় বয়ে চলেছে। পরিবর্তন এসেছে শুধু কবির জীবনে। তাঁর এই পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেন রাঙ্গামাটি - দুই কবিতায়। তিনি বলেন-

তারপরও আজও সর্বভূক অন্ধকার ফেটে চাঁদ ওঠে,
শৈলভূমির স্মৃতি- সংশ্লিষ্ট
অবিকল জ্যোৎস্না ফোটে এখনও কৃষ্ণ দাসত্ব-প্রহরে
প্রথম জন্মের টানে জেগে উঠে তাই আজও খুঁজি উত্তাল ঢেউ, খুঁজি সেই
দুরন্ত কিশোরের মতো অবিকল এক কৈশোর।
ও নদী, বলো কোন ঢেউয়ে লুকিয়ে রেখেছো আমার শৈশব-সাঁতার। - রাঙ্গামাটি-দুই, পৃষ্ঠা - ২৭


সংক্ষিপ্ত অবয়ব, কয়েকটি মাত্র শব্দে মননজগতে ধ্বনিত হওয়া চিন্তাধারার প্রতিবিম্ব যেন, এমন কবিতা রয়েছে দুইটি। মাত্র ছয়টি শব্দে এক সুগভীর মনোভাবনাকে প্রকাশচেষ্টা কবিতাদুটির প্রাণস্বরূপ। আয়তন বিবেচনায় কবিতাদ্বয়ের সম্পূর্ণরূপ প্রকাশ করা যেতে পারে।

'যুদ্ধ' নামক কবিতাটি নিম্নরূপ:-


ও ক্ষুব্ধ
হ' যুক্ত
নে যুদ্ধ। পৃষ্ঠা ১৮


কী অনিবার্য কবির প্রতিক্রিয়া! মাত্র তিনটি শব্দবন্ধে কবি নিজের মনোবাসনা সংক্ষিপ্তাসারে প্রকাশ করে গেছেন। চেতনার চুম্বক অংশকে ধরতে চেয়েছেন যথাযথ শব্দের মার্জিত প্রয়োগে। বিন্দুবৎ প্রতিক্রিয়ায় নির্মাণ করেছেন চিন্তাধারায় অপার অবয়বকে।

'ইতিহাস' শীর্ষক কবিতাটিও অনুরূপ। অল্প কয়েকটি শব্দে এক ব্যাপক অভিজ্ঞতাকে বন্দী করেছেন। জীবনের অনিবার্য প্রতিফলন সারবস্তু হয়ে পাঠক হৃদয়ে দাগ ফেলে দেয়। আবেগী পাঠক ব্যঞ্জনার অভিঘাতে আহত হন, নুয়ে পড়েন। কবিতাটির আকার নিম্নরূপ-


ঘরে ধন্ধ
দীর্ঘশ্বাস
দ্বৈত ছন্দ
পরিহাস। পৃষ্ঠা ২২


'ভ্রমণ' শিরোনামে লিখেছেন পাঁচটি কবিতা। জীবনের বিবিধ গতিপথের আহ্বান কবিতাগুলোর প্রধান প্রসঙ্গ। প্রাত্যাহিক জীবনের যাত্রাপথে আমরা প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হই নিয়ত পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের, তার কোনটি দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলে, কোনটি হারিয়ে যায় বিস্মৃতির গহীন অতলে। কোনটি সময়ের সীমানা পেরিয়ে জেগে থাকে, আবার কখনও কখনও বিস্মৃত স্মৃতি হঠাৎ করে ঝলকে উঠে হৃদয়ে তোলে অনুরণনের ঢেউ।

'ভ্রমণ-১' কবিতার সূচনাতেই কবির স্মৃতিজীবন স্বপ্নভ্রমণের ইঙ্গিত পাই।

পথভ্রষ্ট হয়েছে ভ্রমণ। শুধু কিছু ধুলো আজও উথলে ওঠে
থেকে থেকে। ফলে দূর থেকে
তীক্ষ্ণ কিছু রেখা এঁকে কারা যেন এখনও
বিক্ষোভ পাঠায় নিভৃত পল্লীতে। - ভ্রমণ-১, পৃষ্ঠা- ১৩


ভ্রমণ অনুষঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা কবিকে আনমনা করে তোলে। বিবৃতির ভঙ্গিতে নিজের ক্রিয়াকার্যকে করতে চান পুনর্মূল্যায়ন।

নিচে জলগৃহ, গৃহতে অফুরন্ত বিস্ময়; সাগর-সংশ্লিষ্ট
এই দৃশ্যে
ঢেউ শীর্ষে ক্ষুধা-রঙে কিছু ধানের স্বপ্ন আঁকতে
চেয়েছিল যে নাবিক;
দক্ষিণ-প্রবণ
প্রবল বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষে
বিধ্বস্ত হয়েছে তার
জলগৃহযান। অথচ ডুবন্ত মুহূর্তেও লণ্ডভণ্ড পাটাতনে
পড়ে থাকা নিহত নাবিক
লাল মহিমায় পুনর্রচিত হতেছিল তখন। - ভ্রমণ-২, পৃষ্ঠা - ১৪


কবির স্মৃতিতে তরঙ্গময় হয় কল্পনাতীত দৃশ্যাবলী। দৃশ্যান্তরের বিবরণ বহুমাত্রিক হয়ে ওঠে মিজান খন্দকারের অনবদ্য রচনায়।

… যদিও সেই অন্ধকারে দুর্বোধ্য
ঠেকেছিল সব দৃশ্য- তথাপি সে নারী
বসন বদলানোর ছলে
দেহ খুলে আচমকা ছড়িয়ে দিয়েছিল যে তীব্র প্রাতঃকাল;
সেই বুনো স্বাদ আজ
ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে পথে, ধুলো-প্রসূত জন্মরেখাতেও। - ভ্রমণ- ৩, পৃষ্ঠা - ১৫


‘আদিম-তত্ত্ব' কবিতায় কবি কিছু সামাজিক প্রকরণের মুখোমুখি হয়ে সংশয়াগ্রস্থ হয়ে ওঠেন। মানুষ বলতে তিনি যা জানতেন, যাকে চিনতেন, সময়ের অভিঘাতে নিজের সেই জ্ঞান নিজের কাছেই অপ্রতুল মনে হচ্ছে। কবির এই অভিজ্ঞানের প্রতিফলন পাওয়া যায় 'আদিম-তত্ত্ব' নামক কবিতায়।

সম্প্রতি আদিম মানুষদের নাকি পুনরাগমন ঘটেছে এই ধরাধামে। ধরাকে সরা জ্ঞান করে ধাম ধাম করে তারা নাকি কেবল নাজেল হচ্ছে জনারণ্যে। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইহলোক।… দেখি কি কিছু মানুষ হাতিয়ার নিয়ে খেলা করছে। রৌদ্রকিরণে তাদের শরীর থেকে শক্তি ও শ্রেষ্ঠত্ব যতই বিকিরিত হচ্ছে- ততই তারা অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে অন্ধকারের নেশায় জ্ঞান-গরিমা হারিয়ে তারা হাতিয়ার দিয়ে আরেক মানুষকে হত্যা করছে। অবিরাম কেবল 'মানুষহত্যা' খেলা খেলছে। পৃষ্ঠা- ২৩


'দুঃস্বপ্নগ্রস্থ' নামক তিনটি কবিতায় কবি সামাজিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছায়ায় নিজের জীবন চেতনার অন্বেষণ করেছেন। জানতে চেয়েছেন, বুঝতে চেয়েছেন সময়সঞ্জাত বাস্তবতার প্রাচীন প্রতিরূপ।

প্রথম কবিতায় যেমন তিনি অনায়াসে বলেন-

সাধু। সাধু। এবার আমার চাকরি হয়েছে 'মানব বিনির্মাণ প্রতিষ্ঠানে'। পৃষ্ঠা - ৩৪


একই শিরোনামের দ্বিতীয় কবিতায় ঠিক তেমনভাবে আর এক ঘটনার অবতারণা করেন।-

একদিন আমি হঠাৎ দেখি কি, দেখি যে অহেতুক ছুটছি আমি। কোন দিকে যাব, ছুটতে ছুটতে কোথায় পৌঁছাবো কিছুই বুঝি না। গন্তব্যও দেখি না। শুধু দেখি, ছুটতে ছুটতে চলে গেছি মৎস্য-শিকারিদের কাছে। পৃষ্ঠা - ৩৫


'দুঃস্বপ্নগ্রস্থ' নামক তৃতীয় কবিতাতেও আমাদেরকে কবি মুখোমুখি করেন এক অভিনব ঘটনাপ্রবাহের।-
                            
একদিন আমি তো ছবি দেখছিলাম। ছবি দেখছিলাম বিশাল এক প্রেক্ষাগৃহের অন্ধকারে চুপচাপ বসে। অথচ হঠাৎ দেখি কি, প্রকাশ্য দিবালোকে আমি ও টারমিনেটর ছবির অভিনেতা সোয়ার্জনেগার তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সেখানে তাঁকে দেখি মহাব্যস্ত। সারাদিন তিনি সেই দেশের সর্বত্র ঘুরে বেড়ান আর হাড় সর্বস্ব, অপুষ্ট, হাভাতে আর বদরাগী মানুষদের 'ভাই' বলে অবলীলায় বুকে টেনে নেন। কী সাংঘাতিক সিকোয়েন্স! কী হৃদয়স্পর্শী অভিনয়! পৃষ্ঠা - ৩৬


জীবনপথের এমন অভিনব ঘটনাবলী এই কাব্যের পরতে পরতে সাজানো আছে। পদচারণার প্রতিটি পদক্ষেপে জমে ওঠে নানাবিধ অভিজ্ঞতা। এর প্রতিধ্বনি কবির হৃদয় উপেক্ষা করেনি। শব্দের ছত্রছায়ায় রেখে দিয়েছেন কবিতার অবয়বে। 'পথ' নামক কবিতায় যেমন, সমাজের যে সহিংসরূপ তিনি দেখেছেন, সেই মানবিক বিপর্যয়ের চিত্রগুলোকে উপেক্ষা করতে পারেননি। নির্মোহ সচেতনতায় সাবলীল বিবরণে ব্যক্ত করেছেন কালিক উপাখ্যান।

সেই জাতিগত দাঙ্গা ঘটেছিলো বহুদিন আগে যদিও তবু আজও নভোরাষ্ট্রীয় তরল করুণা হতে ঝরে ঝরে পড়ে পাখিরূপ মানুষের কিম্ভুত প্রজাতি। তারা ধুলায় লুটিয়ে কাঁদে আর মানুষবেলার খোঁজে দ্রুত হাতে চেপে ধরে পথিকের গতি-উত্তপ্ত দু'পা। পৃষ্ঠা - ৪৫


কবিতাগুলো পাঠশেষে বারবার মনে হয়েছে কবি সমকালীন বাস্তবতাকে মেনে নিতে পারছেন না। যে পরিপার্শ্ব তাঁকে ঘিরে রয়েছে, তার সান্নিধ্যে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন না। তাই যেন বারবার অতীত স্মৃতি ও স্বপ্নমেদুরতার মায়াজালে নিমগ্ন হতে চেয়েছেন। স্বপ্নিল জীবনের সম্ভাব্যতাকে স্মৃতিময় কল্পনার ছায়ায় আলিঙ্গন করতে চেয়েছেন। জীবনপ্রবণ কবির কাছে এই মানবীয় অনুভূতি স্বাভাবিক, এটাই যেন স্বাভাবিক প্রত্যাশার। আর তাই কবি নির্মোহ নন। নির্দিষ্টভাবে পক্ষপাত গ্রহণ করেন জন্মান্তরের। এক নিবিড় আকুলতায় ঘোষণা করেন পুনর্জন্মের। 'জন্মান্তরিত হবো কোনো নভোগৃহে' কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে কবির এই হার্দিক আকাঙ্ক্ষা:-

… আর আমি
চন্দ্রঘোরে সেই থেকে ক্ষয় হচ্ছি এখনও। তবু
ক্ষয়াটে এ দেহ হতে
অমূল্য মতোন কিছু পাও যদি- তার সবটুকু নিয়ে যেও
পরিযায়ী মেয়ে। বিনিময়ে
তীব্র সব নভোস্মৃতি পুনশ্চ পাঠাও যদি, তবে
কুশল-রঙের জ্যোৎস্নার আবহে
জন্মান্তরিত হবো আমি, হবো জ্যোতিষ্ক-নাগরিক। পৃষ্ঠা- ২৪



সরলরৈখিক হৃদয়াবেগে রচিত কবিতাগুলো মননশীল পাঠককে আপ্লুত করবে। তাঁকে নিয়ে যাবে এক দিগন্তপ্রসারী স্বপ্নদেশে, যেখানে সমকালীন বিরূপ প্রতিবেশ হাত বাড়াবে না, ঘিরে ধরবে না কোন অন্ধকারপ্রেমী আদিম মানুষ।

জয়তী প্রকাশনীর কর্ণধারকে কাব্যটি প্রকাশ করবার জন্য ধন্যবাদ। বোর্ড বাঁধাই বইখানি সাদা কাগজে ছাপানো। ফন্টের আকার সঠিক মাপের, ছাপানোর মান ভাল। গাঢ় কালো কালিতে করা প্রিন্ট কোথাও ঝাপসা হয়নি। আকর্ষণীয় ও শৈল্পিক প্রচ্ছদটি বইয়ের মান আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য প্রচ্ছদশিল্পী টোকন ঠাকুরকে ধন্যবাদ। যাঁরা হৃদয় নিংড়ানো নিটোল কবিতা পাঠ করতে চান, তাদের তৃষ্ণা মেটাতে মিজান খন্দকার রচিত 'জন্মান্তরিত হবো কোনো নভোগৃহে' কাব্যটি সক্ষম- এই ঘোষণা নিশ্চিন্তে দেয়া যায়।

-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-

জন্মান্তরিত হবো কোনো নভোগৃহে
মিজান খন্দকার


প্রচ্ছদ: টোকন ঠাকুর
প্রথম প্রকাশ: ২০১১
প্রকাশক: জয়তী, ঢাকা
পৃষ্ঠা: ৪৮
মূল্য: ৭৫ টাকা
ISBN: 978-984-8995-18-1


* পড়ুন 'মিজান খন্দকার' রচিত কাব্য 'যথাকবি নিরঞ্জন' বইয়ের আলোচনা

* পড়তে পারেন তাঁর গল্পগ্রন্থ 'পুনশ্চ যুদ্ধার্থীগণ' বইয়ের রিভিউ

মতামত:_

0 মন্তব্যসমূহ