কামাল চৌধুরী রচিত 'কবিতার অন্বেষণ কবিতার কৌশল' বই প্রসঙ্গে স্বকৃত নোমানের আলোচনা

কামাল চৌধুরী রচিত 'কবিতার অন্বেষণ কবিতার কৌশল' বই


ওরহান পামুক বিশ্বখ্যাত ঔপন্যাসিক। উপন্যাস লেখাই তাঁর কাজ। উপন্যাস কী, কাকে বলে উপন্যাস, কীভাবে লিখতে হয় উপন্যাস, এর করণকৌশল কী, পাঠকহৃদয়ে কীভাবে অভিঘাত করে উপন্যাস―এসব প্রকাশ করার তাঁর কোনো দায় নেই। না থাকলেও তিনি তা করেছেন। লিখেছেন The Naive and the Sentimental Novelis শীর্ষক অসাধারণ এক বই। The art of novel লিখেছেন বিখ্যাত ঔপন্যাসিক মিলান কুন্ডেরা। এই সময়ের জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হারুকি মুরাকামি লিখেছেন novelist as a vocation. লাতিন কথাশিল্পী গার্সিয়া মার্কেস এ ধরনের বই নিজে না লিখলেও প্লিনিও এ্যাপুলেইও মেন্দোজাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে (দ্য ফ্রাগেন্স অব গোয়াবা) গল্প-উপন্যাস সম্পর্কে তাঁর ভাবনা বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশের কোনো ঔপন্যাসিক বিস্তৃত পরিসরে উপন্যাস-ভাবনা বিষয়ক কোনো বই লেখেননি। লিখেছেন কি? আমার জানা নেই। তবে গল্প নিয়ে লিখেছেন। কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক হামীম কামরুল হক লিখেছেন ‘ছোটগল্প লেখকের প্রস্তুতি ও অন্যান্য বিবেচনা’। উপন্যাস নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে দেবেশ রায় লিখেছেন দুটি বই : ‘উপন্যাস নিয়ে’ এবং ‘উপন্যাসের নতুন ধরনের খোঁজে’। আমার ধারণা, সমকালীন ঔপন্যাসিকরা প্রত্যেকেই বই দুটি পড়েছেন। উপন্যাসের একজন কর্মী হিসেবে কৌতূহলের সঙ্গে আমি পড়ি উপন্যাস নিয়ে বিখ্যাত ঔপন্যাসিকদের চিন্তা-ভাবনামূলক এসব বই। তাঁদের ভাবনার সঙ্গে আমার ভাবনাগুলো মিলিয়ে নিই। মেলে কিনা দেখি। তাঁদের করণকৌশলের সঙ্গে আমার করণকৌশলের মিল-অমিলগুলো খুঁজি।

এই লেখা কোনো গুরুভার লেখা নয়, কোনো তত্ত্বকথাও নয়
কবিতা নিয়েও আছে এ ধরনের বই। এরিস্টটলের ‘কাব্যতত্ত্ব’ পড়েননি, নিদেনপক্ষে হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখেননি―এমন কবি সম্ভবত বাংলাদেশে নেই। কবিতা বিষয়ক আরো দুটি বহুল পঠিত বই আছে, শঙ্খ ঘোষের ‘ছন্দের বারান্দা’ এবং নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘কবিতার ক্লাস’। কোনো তরুণ কবিতা লিখতে এসে যখন কবিতা কী, কীভাবে লিখতে হয় কবিতা, ছন্দ কী, কবিতায় ছন্দের প্রয়োজন কতটা―এসব বুঝে ওঠার নিরন্তর প্রয়াস চালান, তখন এ বইগুলো তার কাব্যপথের আলোকবাতি হিসেবে কাজ করে। তাকে পথ দেখায়, দিশা দেয়। বাংলাদেশে কবিতা বিষয়ক এসব বই তেমন লেখা হয়নি। সৈয়দ শামসুল হক লিখেছিলেন ‘মার্জিনে মন্তব্য’। বইটির ‘কবিতার কিমিয়া’ অধ্যায়ে কবিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন তিনি।

দৈনিক কালের কণ্ঠের সাহিত্য সাময়িকী শিলালিপিতে ধারাবাহিক ছাপা হচ্ছিল কবিতা বিষয়ে কবি কামাল চৌধুরীর ভাবনা। বিপুল আগ্রহের সঙ্গে প্রতিটি পর্ব পড়ছিলাম। সব কটি পর্ব অবশ্য ছাপা হয়নি। সেসব লেখা নিয়ে, কামাল চৌধুরীর জন্মদিনের প্রাক্কালে পাঠক সমাবেশ প্রকাশ করল ‘কবিতার অন্বেষণ, কবিতার কৌশল‘ শীর্ষক একটি বই। এ ধরনের বই তখনই লেখা সম্ভব, যখন কবিতা সম্পর্কে একজন কবির সম্পূর্ণ ধারণা থাকে, কবিতা সম্পর্কে নিজস্ব চিন্তা থাকে, দর্শন থাকে। খণ্ডিত ধারণা দিয়ে এই ধরনের বই লেখা সম্ভব নয়। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ কবিতা লিখতেন, তাই আমিও লিখি―এমন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এ ধরনের বই লেখা যায় না।

কবিতা সম্পর্কে কবি কামাল চৌধুরীর সম্পূর্ণ ধারণা আছে, নিজস্ব বোঝাপড়া আছে, স্বতন্ত্র কাব্যদর্শন আছে। এ বইয়ে মূলত তিনি সেসব বোঝাপড়া প্রকাশ করেছেন, কাব্যচিন্তার সুসংহত প্রকাশ ঘটিয়েছেন। একে বলা যেতে পারে কবিতা বিষয়ক তাঁর আত্মোপলব্ধি। সেসব আত্মোপলব্ধির ফাঁকে ফাঁকে তিনি গুঁজে দিয়েছেন বিখ্যাত কবিদের উপলব্ধিকেও।

প্রায় এক যুগ আগে এক পত্রিকার জন্য কামাল চৌধুীর ছোট্ট একটা সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম,

আপনার দৃষ্টিতে আসলে কবিতা কী?


উত্তরে তিনি বলেছিলেন,

একজন কবির একটা দিগন্ত থাকবে, সেই দিগন্তে পৌঁছার জন্য তার ভেতর সর্বদা তাড়না কাজ করবে, কিন্তু সে কখনোই সেই দিগন্তে পৌঁছাতে পারবে না। কবিতা হচ্ছে এক অনিঃশেষ শব্দযাত্রা।


এক যুগ পর ‘কবিতার অন্বেষণ, কবিতার কৌশল’ পড়ে মনে হলো, তাঁর কাছে কবিতার যে সংজ্ঞা, সেই সংজ্ঞাকে এ বইয়ে তিনি বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।

কবিতার এই অন্বেষণ, এই অনিঃশেষ শব্দযাত্রা বোঝাতে তিনি উল্লেখ করেছেন একটি চমৎকার গল্প। একবার তিনি কেনিয়া ভ্রমণে গেলেন। এক ফাঁকে দেখতে গেলেন বিখ্যাত মাছাইমারা গেইম রিজার্ভ। চমৎকার এক সাফারি। অসংখ্য পশুর চারণভূমি। গাইড জানাল এই সাফারিতে সিংহ আছে। শুনে তিনি রোমাঞ্চিত হলেন। সিংহ দেখার জন্য সাফারির নানা স্থানে ঘুরে বেড়ালেন, কিন্তু কোথাও একটা সিংহও চোখে পড়ল না। অতৃপ্তি নিয়ে ফিরে এলেন হোটেলে। পরদিন সিংহ দেখার আশায় আবার গেলেন সেই সাফারিতে। গাইড তার ঘ্রাণশক্তি দিয়ে বুঝতে পারল আজ কোথায় আছে সিংহ। সেখানে নিয়ে গেল সে। দেখা গেল তিনটি ঘুমন্ত সিংহ।

কামাল চৌধুরী বলছেন,

তবে কি আমাদের অন্বেষণ শেষ? আমরা জানতাম সিংহ আছে মাছাইমারাতে। খুঁজলে পাওয়া যাবে। ভোরবেলা সিংহের কাছে যখন পৌঁছলাম―সেটি বাস্তব। এটি যদিও স্বাভাবিক অন্বেষণ, তবুও কবিতার অন্বেষণ ‘কাল ভোরে সিংহ দেখতে বেরুব’ পর্যন্ত। সিংহদর্শনের সঙ্গে এ অন্বেষণের সমাপ্তি ঘটেছে। কবির অন্বেষণের শেষ নেই। স্বপ্ন, কল্পনা, বাস্তবতা পেরিয়ে কবিকে ছুটতে হয়। কবির এ অন্বেষণ জীবন অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিশে গেলেও তা অদৃশ্যের অন্বেষণ। ফলে দেখা যাচ্ছে যা আছে, যা পেয়েছি তা-ই শেষ কথা নয়, যা নেই তাকে খুঁজে বের করাই কবির কাজ।


কবিতার অন্বেষণ, কবিতার কৌশল’ পড়ে কোনো তরুণ কবি কি কবিতা লেখা শিখতে পারবে? কবিতার করণকৌশল বুঝতে পারবে? না, সেই নিশ্চয়তা কামাল চৌধুরী দিচ্ছেন না। সাঁতারের বই পড়ে সাঁতার শেখা যায় না। উপন্যাস নিয়ে পামুকের বইটি পড়ে, কুন্দেরার বইটি পড়ে, দেবেশ রায় কিংবা মুরাকামির বইগুলো পড়ে উপন্যাস লেখা শেখা যায় না।

এরিস্টটলের ‘পোয়েটিকস’কিংবা সৈয়দ হকের ‘কবিতার কিমিয়া‘ পড়েও কবিতা লেখা শেখা যায় না। তবে ভাবনাগুলো মিলিয়ে নেওয়া যায়। কবিতা বিষয়ে আপনার ভাবনাগুলোর সঙ্গে অন্য কবির ভাবনা মিলছে কিনা, মিললে কতটুকু মিলছে, নাকি আদৌ কিছু মিলছে না, তা যাচাই করে নেওয়া যায়। এই যাচাইকরণের মধ্য দিয়ে আরেকটু শাণিত করে তোলা যায় কবিতা বিষয়ে নিজের বোধ ও উপলব্ধি।

কবিতা যে শেখানোর বিষয় নয়, এটা কবি কামাল চৌধুরী ভালো করেই জানেন। তাই বইয়ের শুরুতেই তিনি জানিয়ে দিচ্ছেন,

এই লেখা কোনো গুরুভার লেখা নয়, কোনো তত্ত্বকথাও নয়। কবিতার কোনো পাঠশালা নেই, মানবজীবনই কবিতার পাঠশালা। কবিতা লেখা শেখানো যায় না, কিন্তু যা শেখানো যায় না তা শিখে নিতে হয়। কবিতা লেখাও শিখে নিতে হয় কবিকে। এই বোধ ও উপলব্ধি থেকে এই লেখার অবতারণা।


তিনি আরও বলছেন,

কবিতার কোনো পাঠশালা নেই, গুরুগৃহ নেই। কবিতার সর্বজনস্বীকৃত সংজ্ঞাও নেই। যেখানে মনোজাগতিক কারবার আছে, সেখানে সংজ্ঞা নিরূপণ করা কঠিন ব্যাপার।


‘কবিতার অন্বেষণ, কবিতার কৌশল’ নামের বইটিতে কবিতার কোন কোন বিষয়ে আলোচনা করেছেন কামাল চৌধুরী? দেখে নেওয়া যাক। শুরুতেই তাঁর আলোচনা পদ্য ও কবিতা নিয়ে। সাহিত্যের শ্রেণী বিভাজন করতে গিয়ে আমরা সাধরণত বলি গদ্য ও পদ্য। গদ্যের মধ্যে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের উপন্যাস ‘খোয়াবনামা’ যেমন পড়ে, প্রবন্ধগ্রন্থ ‘সংস্কৃতির ভাঙা সেতু’ও পড়ে। কিন্তু পদ্য বলতে কি নির্মলেন্দু গুণের ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’ কিংবা শঙ্খ ঘোষের ‘আদিম লতাগুল্মময়’ বোঝায়? না, তা বোঝা যায় না। এগুলো কবিতা। কবিতা ও পদ্যের মধ্যে তবে ফারাকটা কোথায়?

কামাল চৌধুরী বলছেন,

ছন্দোবদ্ধ পদ্যেও কবিতা থাকতে পারে, আবার নাও থাকতে পারে। ছন্দের নিয়ম-রীতি অনুযায়ী পদ্য কাঠামোতে সাজানো হলেও কবিতা হয়ে উঠতে হলে অব্যাখ্যাত নানা উপাদানের সমন্বয় প্রয়োজন হয়। যতীন্দ্রমোহন বাগচীর ‘কাজলা দিদি’ কবিতায় ‘বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই’ পংক্তিকে যদি পদ্য ধরি তবে ‘ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না একলা জেগে রই’―এটি কবিতা। একই লেখায় পদ্য ও কবিতার মিশেল থাকতে পারে। কবিতার ক্ষেত্রে পদ্যরীতির নিয়ম মানা জরুরি নয়। কবিতা এখন ছন্দোবদ্ধ, মুক্ত, মিশ্র, গদ্য এরূপ নানা আঙ্গিকে লেখা হয়―বহু বিখ্যাত কবিতা আছে যেখানে পদ্যের প্রথাগত রীতি অনুসরণ করা হয়নি। আবার অনেক পদ্যকার আছেন যারা কবি হিসাবে সমাদৃত নন। কালক্রমে পদ্য ও কবিতার ভেতর একটা পার্থক্য রচিত হয়েছে। তবে কোনো কোনো কবি এ পার্থক্য মানতে চান না―নিজেদের সবিনয়ে পদ্যকার বলেন। শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর কবিতা সমগ্রের নাম রেখেছেন পদ্য সমগ্র।


কবিতা ও পদ্যের পার্থক্য কিছু কি বোঝা গেল? মনে হয় না। বোঝা যাওয়ার কথাও নয়। পার্থক্যটা যদি আমিই বুঝিয়ে দিতে পারতাম, তবে তো কামাল চৌধুরীকে আর ‘কবিতার অন্বেষণ, কবিতার কৌশল’ বইটি লিখতে হতে না। বইটি পড়ে আপনিই সবিস্তার বুঝে নিতে পারবেন। বুঝে নিতে পারবেন কবিতা ও পদ্য দুই ভুবনের বসিন্দা, না একই ভুবনের? তারা যমজ ভাই, না সৎ ভাই? নাকি সম্পর্কে তারা চাচাতো-জেঠাতো ভাই? বইটিতে কামাল চৌধুরী কবিতার আরো যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন তা হচ্ছে―কবিতার ভাষা, কবিতার ছন্দ, অক্ষর বা সিলেবল, মাত্রা, অক্ষরবৃত্ত ছন্দ, সনেট, মাত্রাবৃত্ত ছন্দ, স্বরমাত্রিকা, স্বরবৃত্ত ছন্দ, পয়ার ও মহাপয়ার, মুক্তক বা মুক্তবন্ধ, কতিার মিল-অন্তমিল, চিত্রকল্প-উপমা ও রূপক।

কোনো তরুণ কবি বলতে পারেন, এসব তো জানা কথা, বহু বইয়ে পড়েছি, নেটে সার্চ দিলেই পাওয়া যায়। কামাল চৌধুরীর বই পড়ে জানতে হবে কেন, শিখতে হবে কেন? খুবই যৌক্তিক প্রশ্ন। উত্তর হচ্ছে, ওরহান পামুক যে রীতিতে উপন্যাস লেখেন, হারুকি মুরাকামিও কি সেই রীতি অনুসরণ করেন? মোটেই না। গন্তব্য এক হলেও প্রত্যেকের পথ আলাদা। সেই পথ কেউ আবিষ্কার করে দেয় না, নিজেকেই আবিষ্কার করে নিতে হয়। কিন্তু পামুকের পথটা কেমন, সোজা না বাঁকা―সেটা দেখে নিতে মুরাকামির তো কোনো অসুবিধা নেই। মুরাকামির পথটা পিচঢালা না খানাখন্দে ভরা, সেটা দেখে নিতে পামুকেরও তো অসুবিধা থাকার কথা নয়।

কবির অন্বেষণের শেষ নেই। স্বপ্ন, কল্পনা, বাস্তবতা পেরিয়ে কবিকে ছুটতে হয়। কবির এ অন্বেষণ জীবন অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিশে গেলেও তা অদৃশ্যের অন্বেষণ।
অতএব, সমকালীন বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কবি কামাল চৌধুরী কবিতা বলবে কী বোঝেন, কবিতার করণকৌশল কেমন, কী তাঁর কাব্যদর্শন―‘কবিতার অন্বেষণ, কবিতার কৌশল’ বইটিতে একবার চোখ বুলিয়ে দেখে নিতে তো আমাদের তরুণ কবিদের (এমনকি কথাসাহিত্যি ও কাব্যরসিকদেরও) কোনো অসুবিধা থাকার কথা নয়। থাকবেও না সম্ভবত। আমার ধারণা, কামাল চৌধুরীর বইটি হবে বহুল পঠিত। বইটি ঘুরবে তরুণ লেখকদের হাতে হাতে। এটিও উন্নীত হবে সৈয়দ হকের ‘মার্জিনে মন্তব্য’ বা নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘কবিতার ক্লাস‘-এর সমমর্যাদায়।

পুনশ্চ : ২৮ জানুয়ারি কবি কামাল চৌধুরীর জন্মদিন। কততম জন্মদিন? জানা নেই। কবিদের বয়স জানতে নেই। জানার দরকার হয় না। কারণ, কবিরা চিরতরুণ। দীর্ঘজীবীও। সেই কবে জন্মেছেন রবীন্দ্রনাথ, অথচ মনে হয় এখনো তিনি আমাদের মধ্যে আছেন, এখনো তাঁকে নিয়ে কথা হয়, তর্ক-বিতর্ক হয়, এখনো তিনি সমকালীন কবিদের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। মনে হয় এখনো তিনি তরুণ। এখনো ওড়াচ্ছেন কবিতার বিজয় কেতন। কবি কামাল চৌধুরীও তেমনি তরুণ। জন্মদিনে কবি কামাল চৌধুরীকে শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন, প্রিয় কামাল ভাই। অনিঃশেষ হোক আপনার শব্দযাত্রা।


*********
কবিতার অন্বেষণ, কবিতার কৌশল
কামাল চৌধুরী


প্রকাশক: পাঠক সমাবেশ, ঢাকা
প্রকাশকাল: ২০২৪

মতামত:_

0 মন্তব্যসমূহ