ইলা মিত্র - মালেকা বেগম

ইলা মিত্র- মালেকা বেগম

ইলা মিত্র - যাকে সবাই রাণীমা বলেই চিনতোঃ জাহানুর রহমান খোকন

ইলা মিত্র বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কিংবদন্তি নারী। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এলাকার কৃষকদের ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের কিংবদন্তি নেত্রী ইলা মিত্র। শোষিত, নিগৃহীত কৃষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে সর্বস্ব পণ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এই অসীম সাহসী নারী। মুসলিম লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনীর বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এই বইয়ে ইলা মিত্রের সেই সংগ্রামী জীবন-কথা বিস্তারিত জানিয়েছেন লেখক মালেকা বেগম। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইলা মিত্রের নিজের লেখা, সাক্ষাৎকার, চিঠিপত্র আর তাঁকে নিয়ে কবি-সাহিত্যিক, রাজনীতিক, সাংবাদিকদের দুর্দান্ত সব লেখা। ইলা মিত্রকে জানতে-বুঝতে এ বইটির জুড়ি নেই।

কিশোরী ইলা সেন ছিলেন ক্রীড়াবিদ। ১৯৪৫ সালে দেশ ভাগের পূর্ব মালদহ জেলার নবাবগঞ্জ থানার রামচন্দ্রপুর হাটের জমিদার বাড়ির বউ হয়ে আসেন ইলা সেন। তার পর তাঁর নামের সাথে যুক্ত হয় মিত্র। সাঁওতালদের রাণীমা ইলা মিত্র। তিনি ছিলেন ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী। একজন জমিদার বাড়ির বউ হয়ে সাত মহলে বন্দি জীবন ডিঙ্গিয়ে তিনি নাচোলের কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন। এই কৃষকদের অধিকাংশই ছিল সাঁওতাল। এঁদের বর্গাচাষে বাধ্য করা হতো।

১৯২৯ সালে ভারতবর্ষ জুড়ে বিশ্ব-মহামন্দার সময়ে বর্গাচাষিদের ফলানো ফসলের তিন ভাগের দুই ভাগ দাবী করে বসলো জোতদাররা। তার ঘাত-কশাঘাত গিয়ে পড়ল দরিদ্র কৃষকের জীবনে। সে সময়ে নাচোলের বিভিন্ন স্থানে কমিউনিস্ট পার্টির লোকজন গোপনে কৃষকদের সংগঠিত করার কাজ করে যাচ্ছিলেন। তারা কৃষকদের সংগঠিত করে দাবী তুলেন উৎপন্ন ফসলের দুই ভাগ নয়। তিন ভাগের একভাগ পাবেন জোতদার-জমিদাররা। ইলা মিত্রের স্বামী রমেন মিত্র ছিল কমিউনিস্ট পার্টির নেতা। ইলা মিত্রও কম তেজোদীপ্ত ছিলেন না। তেভাগা আন্দোলনে স্বামীর পাশাপাশি নারীদের সংগঠিত করতে অনুপ্রাণিত হয়েছিল ইলা মিত্র। তিনি নিজেও ছিলেন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। যশোরের ঝিনাইদহের বাগুটিয়া গ্রামে তাদের আদি নিবাস। বাবা ছিলেন বেঙ্গলের ডিপুটি অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল। বাবার পেশার কারণে জীবনের দীর্ঘ সময় কলকাতায় লেখাপড়া করে কাটিয়েছেন। খেলাধুলায় ১৯৩৬ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত ইলা মিত্রের নাম ছিল প্রথম সারিতে। সাঁতারে ছিলেন পটু। সেই যুগে খেলাধুলায় বাঙ্গালী মেয়ে ছিল হাতেগোনা।

১৯৪৩ সালে ইলা মিত্র যখন বেথুন কলেজে বাংলা বিভাগের সম্মান ক্লাসের ছাত্রী তখন তিনি কলকাতায় মহিলা আত্নরক্ষা সমিতির সদস্য হন। ১৯৪৩ সালে রাওবিল বা হিন্দু কোড বিলের পক্ষে আন্দোলনে যোগ দেন।

১৯৪৫ সালে রমেন মিত্রের সাথে বিয়ের মধ্যে দিয়ে চিরচেনা পরিবেশ রয়ে গেল সীমান্তের ওপারে। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে দেশ ভাগ হয়ে গেল। দেশ ভাগ হয়ে যাওয়ার পর তার শাশুড়ী সারা জীবনের ভিটেমাটি ছেড়ে যেতে রাজি হলেন না। ফলে শাশুড়ির সিদ্ধান্তে তিনি ও তাদের পরিবার থেকে গেলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। আর সেখানেই সাঁওতাল ও নাচোলে ইলা মিত্র জমিদার ও জোতদারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কৃষকদের সংগঠিত করতে থাকেন। ফসল কাটার মৌসুমে তেভাগার দাবীতে কৃষকরা তাদের নেতা রমেন মিত্রকে সাথে নিয়ে ৫০০ বিঘা জমির ফসলে তাদের নীতি কার্যকর করলেন। এভাবে অন্যান্য জোতদারের জমিতে তা কার্যকর করা হলো। প্রতিপক্ষ তথা সরকার এবং জোতদারের পক্ষ কৃষকের নিজ উদ্যোগে তেভাগা নীতি কার্যকর করার আন্দোলনকে সরাসরি 'ধান লুট' বলে আখ্যায়িত করেন।

১৯৪৮ সালের মে মাসের শুরু থেকেই পুলিশ জমিদার যৌথভাবে গ্রামে গ্রামে উৎপীড়ন শুরু করে। আত্নগোপনে যাওয়া নেতাদের হদিস না পেয়ে পুলিশ কৃষকদের উপর নির্যাচন ও অত্যাচার চালায়। ফলে মানুষ পুলিশকে তাদের শত্রু ভাবতে শুরু করে এবং পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

১৯৫০ সালের ৫ই জানুয়ারী হঠাৎ করে নিকটস্থ থানার দারোগা ও ৫ জন পুলিশ সদস্য নাচোলের গ্রামে ঢুকে পলাতক নেতা কর্মীদের না পেয়ে কৃষক সুরেন বর্মনের বাসায় উঠে নেতা কর্মীদের গোপনে রাখার অভিযোগ করেন এবং মারধর শুরু করেন। এ খবর গ্রাম থেকে গ্রামে পৌচ্ছালে কৃষকরা তীর ধনুক লাঠি হাতে ছুটে আসে। কৃষকরা দীর্ঘদিনের অত্যাচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে। সাঁওতালরা দলে দলে তীর ধনুক নিয়ে ছয় হাজার নারী পুরুষ তাদের ঘিরে ফেলে। ঘটনাস্থলেই পুলিশ সদস্যরা মারা যায়। তার পর নাচোলের উপর নেমে আসে অমানবিক পরিস্থিতি। নাচোলের কৃষকদের শায়েস্তা করার জন্য রাজশাহী থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সজ্জিত আগ্নেয়াস্ত্রের ২ হাজার সেনার  কাছে কৃষকরা অসহায় হয়ে পড়ে। তারা গরীব কৃষকদের ১২ খানা গ্রাম জ্বালিয়ে দেন। কৃষকদের অত্যাচারের সীমা থাকে না। তারা গ্রাম ছেড়ে পালাতে থাকে। বহু কৃষককে গুলি করে মেরে ফেলে।

এই অবস্থায় নাচোলের তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্র নাচোল পুলিশ আক্রমণের সময় ছদ্মবেশে পালানোর সময় ১৯৫০ সালের ৮ জানুয়ারী স্বদলবলে পুলিশের হাতে বন্দি হন এবং ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত নানাবিধ নির্যাতনের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসা করাতে ভারতে যান।

এই হলো সারসংক্ষেপ-

কিন্তু গল্পের মতো এতো সহজে তো ঘটনা প্রবাহিত হয়নি। এর জন্য ইলা মিত্রকে অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল। রক্ষণশীল পরিবারের স্ত্রীলোকদের সাধারণত অন্দরমহলে থাকতে হতো। ইলা মিত্র তার শাশুড়ির কাছে শুনতেন জমিদার বাড়ির হাঁক-ডাক ও বিধি-নিষেধের কথা। কোন এক সময়ে তার শাশুড়ি স্টিমারে চড়ে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন ফলে পাড়ায় রটে গেল, জমিদার গিন্নির মুখও তাহলে দেখা যায়! শাশুড়ির ভাশুর রাগে আদেশ দিলেন বাড়ির বউ আর কোনদিন যেন পাইকারী জাহাজে না উঠে। তার পর থেকে বাপের বাড়ি যাওয়া আসা করতে নিজস্ব নৌকা ব্যবহার করতে হয়েছে। সেই বাড়ির বউ ইলা মিত্র এতো সহজে যে রাণীমা ইলা মিত্র হয়ে উঠেছেন সেইটা ভাবলে ভুল হবে বৈকি।

স্বামী রমেন মিত্র যখন কৃষকদের অধিকারের জন্য মাঠে গঞ্জে ছুটে বেড়িয়েছেন তখন কৃষকদের পক্ষে প্রস্তাব আসে তাদের সন্তানদের শিক্ষিত করবার দায়িত্ব মা ঠাকুরনকেই নিতে হবে। পরিবার থেকে সেই দাবী মেনে নিলেও বাসা থেকে ৪০০ গজ দূরের স্কুলে ইলা মিত্রকে যেতে হতো গরুর গাড়িতে করে।

মুসলমান কৃষকের মেয়েরা পড়ালেখা শিখবে এইটা কিছু জোতদার মেনে নিতে পারলেন না। তারা সাম্প্রদায়িক ইস্যু টেনে ইলা মিত্র পরিবারকে দায়ী করলেন। যেহেতু তারা হিন্দু তাই তারা মুসলমানদের মেয়েদের বাড়ির বাইরে টেনে আনছে যা ধর্মীয় বিধানসম্মত নয়। কিন্তু জোতদারদের সেই সাম্প্রদায়িক চেতনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে দাঁড়িয়ে ওয়াজেদ মোড়ল বলেছিলেন,

মেয়েরা লেখাপড়ার জন্য স্কুলে এলেই বুঝি শরিয়তবিরোধী কাজ হয়? আর জোতদারের বাড়িতে কাজ করলে বেপর্দা হয় না? ধনীরা যখন মেয়েদের ইজ্জত নষ্ট করে তখন শরীয়ত বিরোধী কাজ হয় না? প্রত্যেক ধনী বাড়িতে মেয়েরা যে বাঁদীগিরি করতে বাধ্য হচ্ছে, তাতে শরীয়ত নষ্ট হয় না? শুধু মেয়েদের উপর পর্দা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য ধর্মের দোহাই দেওয়া হয়, অথচ গরীবের উপর ধনীরা অত্যাচার করে যে অধর্মের কাজ করে, সে কথা ধনীরা বলেনা কেন?

তার কথায় ততোদিনে গরীবের উপর ধনী মুসলমানদের আক্রমণের ধাক্কা সামলে উঠে গরীব কৃষকরা পালটা আক্তমণ চালায়, শরীয়তে সুদ খাওয়া হারাম কিন্তু বড়লোক সাহেবরা, ধনি জোতদার মহাজনেরা সুদ খাটায়। এই কথায় সকল গরীব কৃষকরা সমবেত হন। কিন্তু ১৯৪৭ সাল থেকে কৃষকের হয়ে কাজ করলেও জমিদার বাড়ির বউ ইলা মিত্রকে কৃষকরা শুরুতে বিশ্বাস করেনি। এক বছর তাদের সাথে এক বাড়িতে থেকে, তাদের খেয়ে তাদের ভাষা শিখেই তাকে সেই বিশ্বাস অর্জন করতে হয়েছে।

১৯৫০ সালের জানুয়ারী মাসে পুলিশ খুনের দায়ে ইলা মিত্র, রমেন মিত্র, মাতলা মাঝি সহ কয়েকজনের নামে হুলিয়া জারি করা হয়। আর সেসময়েই ৭ জানুয়ারী সাঁওতালদের দলের সাথে দেশত্যাগের সময় ৮ জানুয়ারী ইলা মিত্র গ্রেফতার হন। এসময়ে তাকে ও তাঁর সাথের অন্যন্য শরনার্থীদের উপর সেনাবাহিনী অমানবিক নির্যাতন চালায়। সাঁওতালদের মারধরের পাশাপাশি বারবার বলা হয়,

বল পুলিশ খুন করার জন্য তোদের রাণীমাই তোদেরকে হুকুম দিয়েছিল।

কিন্তু পুলিশের বুটের আঘাত ও শত অত্যাচারের পরেও কেউ রানীমার নাম করেনি। অত্যাচারে অত্যাচারে অনেকেই সেখানে প্রাণ ত্যাগ করেন। তাদের একজন হরেক।

হরেকের প্রসঙ্গে ইলা মিত্রের লেখায় পাই, হরেক কিছুদিন আগে পার্টির একটি কাজ করতে বিলম্ব করায় হরেককে আর কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ দেওয়া হয় নাই। তারপর হরেক আক্ষেপ করে বলেছিল,

আমাকে কী মনে করেন আপনারা? জানেন, প্রয়োজন হলে আমি জীবন দিতে পারি?

তার কথায় কেউ গুরুত্ব দেয়নি সেদিন কিন্তু নাচোলে ইলা মিত্রের সামনে হরেক প্রাণ দিয়েই তার প্রমাণ দিলো।

১৯৫১ সালে কোর্টে মামলা চলার সময় রাজশাহীর ছাত্র সমাজ জনমত গড়ার জন্য বিশেষ তৎপর ছিলেন। মনোরমা বসু ইলা মিত্রকে বলেছিলেন, কোর্টে উপস্থিত হয়ে তিনি যেন তার উপর অত্যাচারের একটা পূর্ণাঙ্গ বিবৃতি দেন। ইলা মিত্র তাই করলেন কিন্তু সে সময়ে সরকারের দমননীতির ফলে সংবাদপত্রের কন্ঠ রোধ করে রাখার ফলে ইলা মিত্রের জবানবন্দিটি কোন পত্রিকায় প্রকাশ পায় নাই। কমিউনিস্ট পার্টির উদ্যোগে সর্বত্র সে জবানবন্দি ইশতেহার আকারে ছাপিয়ে বিলি করা হয়েছিল। ফলে মানুষের মনে লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণা জাগ্রত হয়। চট্টগ্রামের রাজবন্দি কিশোর কবি ইশতেহার পড়ে মর্মাহত হন এবং 'শোকার্ত মায়ের প্রতি' কবিতায় তা প্রকাশ করেন।

এভাবেই সাধারণ মানুষ থেকে কবি সাহিত্যিক শিল্পীর আঁকা চিত্রে ইলা মিত্রের উপর অত্যাচারের খবর জনমনে রোষানলের সৃষ্টি করেছিল। মাওলানা ভাসানীও ইলা মিত্রের মুক্তির দাবীতে বিবৃতি দিয়েছিলেন।

যে পাকিস্তান সরকার ইলা মিত্রের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিভিন্ন ইস্যু দিয়ে কুপোকাত করতে চেয়েছিল সেই পাকিস্তান সরকারের পক্ষে রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য কাউকে পাওয়া যায় নি। অবশেষে ১৯৫৪ সালের মাঝামাঝি ইলা মিত্র ভারতে চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেলেন। ইলা মিত্রের বাংলাদেশের আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস সমাপ্ত হয়েছিল। তেভাগা আন্দোলন ও নাচোল আন্দোলনের শেষ এখানেই।

আন্দোলন করতে গিয়ে সর্বস্তরের মানুষের ভালবাসা পাওয়া প্রসঙ্গে ইলা মিত্র বলেছেন,

রক্তের জাত আছে কি না জানি না, যদি থাকে, আমি অবশ্যই জাতহীন।

এরপর পরবর্তী জীবনে ইলা মিত্র ভারতে বিধানসভার সদস্য হন। সেখানেও বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের জন্য বন্দি করা হয়। তার মধ্যে ১৯৬২ সালে চীনের ভারতবর্ষ আক্রমণের সময় এবং ১৯৭০, ১৯৭২ সালে মোট চারবার বন্দি হন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার সময়ে ইলা মিত্র ও রমেন মিত্র বাংলাদেশ শরণার্থীদের পাশে ছিলেন বন্ধুর মতো। ইলা মিত্রের কাছে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ছিল নিজের মুক্তি সংগ্রামের মতো। তিনি বলেছেন,

বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে মিত্রতার জন্য লড়া আমার কাছে মুক্তিপণ পরিশোধ দেওয়ার মতোই অপরিহার্য কর্তব্য। শ্বশুরালয়ে এবং পাকিস্তানি কারাগার এই দুইটি কবর থেকে দু-দুবার যাঁরা আমাকে উদ্ধার করেছেন, তাঁদের মুক্তিসংগ্রামে পিছনে পড়ে থাকার মতো অকৃতজ্ঞ কীভাবে আমি হই?

ইলা মিত্র বইটির লেখক মালেকা বেগম। সুন্দর প্রচ্ছদের প্রথমা প্রকাশনের বইটির অলংকরণ করেছেন- কাইয়ুম চৌধুরী। সহযোগী শিল্পী অশোক কর্মকার। ১৭১ পৃষ্ঠার বইটির শেষভাগে অতিরিক্ত হিসাবে রয়েছে ইলা মিত্রের পরিচয় ও তার পারিবারিক বিভিন্ন ছবির অ্যালবাম, ইলা মিত্রের হাতে লেখা চিঠি। চতুর্থ মুদ্রণ, সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালের বইটির মুদ্রিত মূল্য-৩৫০ টাকা এবং ISBN নাম্বার-৯৭৮ ৯৮৪ ৮৭৬৫ ৬৯ ২

মতামত:_

1 মন্তব্যসমূহ

মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম