"সিমোন দ্য বোভোয়ার - সুশান্ত বর্মণ" এর আলোচনা: নুসরাত জাহান

"সিমন দ্যা বুভোয়ার - সুশান্ত বর্মন" এর আলোচনা: নুসরাত জাহান

 ‘কেউ নারী হয়ে জন্মায় না, বরং নারী হয়ে ওঠে’— নারী সম্পর্কে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ও স্মরণীয় এ-মন্তব্যটি সিমোন দ্য বোভোয়ারের, যিনি শুধু বিশশতকের নয়, চিরকালের শ্রেষ্ঠ মানুষদের একজন। তাঁকে নিয়ে প্রকাশিত বই ‘সিমোন দ্য বোভোয়ার: সাহিত্য ও দর্শন’৷ বইটি রচনা, সংকলন ও ভাষান্তর করেছেন সুশান্ত বর্মণ। বইটিতে সংকলিত হয়েছে সিমোন দ্য বোভোয়ার প্রসঙ্গে প্রবন্ধ, তাঁর রচিত উপন্যাস, নাটক, আত্মজীবনী, ভ্রমণ কাহিনী ও দার্শনিক তত্ত্বের বইসমূহের আলোচনা, দুইটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের অনুবাদ, তাঁর প্রবন্ধের অনুবাদ, রচনা থেকে নির্বাচিত অর্ধশতাধিক উক্তির অনুবাদ ও গ্রন্থপঞ্জী!

বইটির শুরুতে অর্থাৎ ভূমিকাংশের পরেই সংক্ষিপ্তাকারে সিমন দ্য বোভোয়ারের জীবন বর্ণনা করা হয়েছে। পুরোনাম 'সিমোন লুসি আর্নেস্টাইন ম্যারি বার্টান্ড দ্যা বোভোয়ার', সংক্ষেপে 'সিমোন দ্য বোভোয়ার'। বিংশশতাব্দীর শুরুতেই প্যারিসের এক বুর্জোয়া পরিবারের জন্মগ্রহণকারী এই মেয়েটি পরবর্তীতে তাঁর দার্শনিক চেতনার আলোকে নারীবাদী আন্দোলনের দ্বিতীয় তরঙ্গের জন্ম দেন। তিনি শুধু একজন সমাজ সংস্কারক, মানুষের প্রতিনিধি, চিন্তক, লেখকই নন -সর্বোপরি তিনি একজন স্পষ্টবাদী মানুষ। আর এ অসাধারণ গুণটি তাকে অনন্যতা দিয়েছে। যিনি তার ব্যক্তিজীবন দিয়েই উপলব্ধি করেছেন নারীর জীবন আসলে তার নিজেরই। যে পরিবর্তন প্রত্যাশা করেন, তার জন্য চেষ্টা করতে হবে নারীকে নিজেকেই। বিরূপ সামাজিক প্রেক্ষাপটের উজানে ঢেউ ঠেলতে হবে নারীকে নিজের হাতেই। বাবা-মা উভয়েই বই পড়ুয়া হওয়ার কারণেই হয়তো সিমোনেরও ছোটবেলা থেকেই বইয়ের প্রতি আকর্ষণ জন্ম নেয়। পেশাগত জীবনে একজন শিক্ষক ছিলেন। বইটিতে সিমোন সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে,

ফরাসী অস্তিত্ববাদী দার্শনিক ও লেখক জ্যাঁ পল সার্ত্রে,  আলবেয়ার ক্যামু, মরিস মার্লো পন্টি প্রমুখের পাশাপাশি থেকে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। সমাজে প্রচলিত নৈতিকতা, নারীবাদ, দর্শন, রাজনৈতিক কর্মকান্ড প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বন্ধুদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করতেন। নিজের চিন্তা বা প্রস্তাবনার সীমাবদ্ধতা অন্যের চোখে দেখতে চাইতেন। নিজের ভাবনাগুলোকে উৎসাহী পাঠকের সামনে উপস্থাপন করার জন্য কথাসাহিত্য, আত্মজীবনী, ভ্রমণকাহিনী, দর্শন আলোচনা, পত্রসাহিত্য, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, প্রচারপত্রসহ প্রচুর লেখাপত্র রচনা করেছেন।


১৯৪৯ সালে প্রকাশিত 'দ্যা সেকেন্ড সেক্স' বইটি তাঁকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এনে দেয়। নারীত্বের অবদমন, নিপীড়ন এবং নারী অধিকার ও স্বাধীনতার তুলনামূলক বিশ্লেষণ বইটির প্রধান বিষয়। হুমায়ূন আজাদ তাঁকে 'বিশশতকের নারীবাদের জননী' বলেছেন। ১৯৮৬ সালের ১৪ই এপ্রিল মহৎ এই চিন্তাবিদের মৃত্যু হয়। বন্ধু জ্যাঁ পল সার্ত্রের পাশেই সমাধিস্ত হন তিনি।

এর পরেই বই আলোচনা। বই আলোচনা অংশে লেখক সিমোন দ্যা বোভোয়ারের উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক ভ্রমণকাহিনী, প্রবন্ধ, আত্মকথা ও দার্শনিক তত্ত্ব নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন। তার চারটি উপন্যাসের আলোচনা স্থান পেয়েছে এখানে। উপন্যাস গুলো যথাক্রমে, 'শী কেম টু স্টে', 'দ্যা ব্লাড অফ আদারস', 'অল মেন আর মরটাল', 'দ্যা ম্যান্ডারিনস'
কেউ নারী হয়ে জন্মায় না, বরং নারী হয়ে ওঠে
'অল মেন আর মরটাল' উপন্যাসটি আলোচনা করতে গিয়ে লেখক সিমোনের মনোভাব প্রকাশ করতে গিয়ে বলেছেন, "জীবনের পর্যায়ভেদে মৃত্যু এক অতি প্রয়োজনীয় বাস্তবতা। মৃত্যু জীবনকে সম্পূর্ণ করে, অর্থবোধক করে।"  আর 'দ্যা ম্যান্ডারিনস' উপন্যাসটিতে তার বেশ কয়েকটি প্রিয় বিষয় যেমন অস্তিত্ববাদ, নারীবাদ, রাজনৈতিক মতবাদ, নৈতিক অবস্থান প্রাধান্য পেয়েছে। ছোটগল্প, নাটক, ভ্রমণকাহিনীর পরেই লেখক আলোচনা করেছেন তার বিখ্যাত প্রবন্ধ 'দ্যা সেকেন্ড সেক্স' নিয়ে। এ প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক বলেছেন, "সিমোন দীর্ঘদিন ধরে নারী সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, আইন, সাহিত্য, দর্শন, প্রত্নতত্ত্ব, পুরাণ প্রভৃতি শাস্ত্র নিয়ে ব্যাপক পড়াশোনা করেছেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর নারীদের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করেছেন, বোঝার চেষ্টা করেছেন তাদের প্রাত্যাহিক জীবনচিত্র। এই বিপুল অভিজ্ঞান রূপ লাভ করেছে 'দ্যা সেকেন্ড সেক্স' বা 'দ্বিতীয় লিঙ্গ' বইটিতে।"  নারীর বিচ্ছিন্নতাবোধ এবং অধীনতাকে সিমোন ব্যাখ্যা করেছেন পরিস্থিতি এবং অজুহাত এই দুটোর মিশ্রিত ফল হিসেবে। তিনি সমাজ গঠনের কর্মযজ্ঞে নারীদের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কয়েকটি বিষয় পুনর্বিন্যাসের উপর জোর দেন। এ বিষয়ে বইটির ৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে-

শিশু পালনে দম্পতির সমান অংশগ্রহণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে একই প্রকারের শিক্ষা গ্রহণ এবং গর্ভনিরোধ ও গর্ভপাতের বৈধতা বিষয়ে সামাজিক সহনশীলতা প্রয়োজন। তবে তিনি সবার আগে নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার উপরে জোর দেন।


সিমোনকে বোঝার জন্য তার আত্মকথামূলক রচনাগুলোও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তার আত্মজীবনী আলোচনা করতে গিয়ে লেখক বলেছেন-

বিশ বৎসর বয়সেও তিনি পড়াশোনায় নিমগ্ন থেকেছেন, অন্যদের মত উচ্ছ্বল হয়ে ঘুরে বেড়াতেন না, সারাদিন বই নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা তথৈবচ, যৌতুক দেওয়া কঠিন। অতএব কে আর তাকে বিয়ে করবে? মুফতে পাওয়া এমন সুযোগে তিনি নিরন্তর পড়াশোনায় মগ্ন থাকতেন। এরকম বহু বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা সিমোন নিজের আত্মজীবনীতে অকপটে প্রকাশ করেছেন৷


সিমোনকে পরিপূর্ণ ভাবে বোঝার জন্য বইটির প্রতিটি লাইন, প্রতিটি কথা বোঝা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে বইটিতে স্থান পাওয়া তার দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দুটি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ জাগায়। সাক্ষাৎকারে তার বলা কিছু কথা আমার ব্যক্তিগত জীবনবোধ এবং পারিপার্শ্বিক অনুধাবনের সাথে হুবহু মিলে গেছে। হয়তো এজন্যই আকর্ষণটা একটু বেশি। আজকের এই একবিংশ শতাব্দীতেও তার বলা কথা আর আমাদের সমাজবাস্তবতার ব্যাপক মিল রয়েছে। জন গেরাসিকে দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারটা 'দ্যা সেকেন্ড সেক্স' প্রকাশের ২৫ বছর পর নেওয়া হয়েছে। এই সাক্ষাৎকারে ফরাসী পুরুষদের আচরণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,

তাদের মনোভাব এমন যে, মুক্ত নারীদের হওয়া উচিত এমন- নিজের ক্যারিয়ারের শর্ত মেনে এবং বস্তুগত বিষয়ে একজন নারী যতবেশি লড়াই করার চেষ্টা করবে, তার নিজের পৃথিবীতে, পুরুষের পৃথিবীতে তত সহজে যেন তার বিছানায় যাওয়া উচিত।


নারীদের আরো বেশি মুক্ত হওয়া, টাকা, ক্ষমতা এবং নারীবাদী আন্দোলনের তৎপরতা বিষয়ক আরেক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন-

একজন মহিলা যিনি নিজেকে যে কারণেই হোক স্বতন্ত্র করতে পেরেছেন, তিনি আরও বেশি মুক্তি অনুভব করতে পারেন। কিন্তু শ্রেণী হিসেবে তিনি মুক্ত নন, কারণ তার কোন অর্থনৈতিক শক্তি নেই।


তিনি আরো বলেন-

কিছু পরিসংখ্যান আমাদের ভুল পথে চালিত করে। কোন কর্মকর্তা বা শক্তিশালী নারী আইনজীবী'র সংখ্যা নয়। কতজন নারী ফোন তুলে একজন জজ অথবা সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যা সমাধান কিংবা বিশেষ সহযোগিতা দাবী জানাতে পারে? এই ধরনের মহিলাদেরকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত পুরুষতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য দিয়েই যেতে হবে। নারী ডাক্তার? এদের মধ্যে কতজন সার্জন বা হাসপাতালের পরিচালক? সরকারে থাকা নারী? হ্যাঁ টোকেনের মত আছে। ফ্রান্সে আমাদের দুইজন আছে। একজন সত্যিই খুব পরিশ্রম করেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিমোন ওয়েইল, আর অন্যজন ফ্রাঙ্কইজ গিরাউড, তিনি আসলে একটা শোপিস মাত্র। তার মানে সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত হবার জন্য বুর্জোয়া নারীদের যা প্রয়োজন, তা তিনি মিটিয়ে থাকেন।


ব্যক্তিগত জীবনে জ্যাঁ পল সার্ত্রের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন-

একই রকম উদ্দেশ্যমুখী, একই ধরনের ব্যক্তিত্বগুলো সাধারণত পরস্পরের প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বিতা বোধ করে।


কিন্তু এই প্রথার বিপরীতে তাদের মধুর সম্পর্কের কারণগুলো বর্ণনা করেন তিনি।

বইটিতে স্থান পাওয়া 'শিল্পের শৈলী' শিরোনামে অন্য সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন ম্যাডেলিন গোবেল। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে ম্যাডেলিন গোবেল প্রশ্ন করেন,

আপনার উপন্যাসে, দেখা যায় নারীরা, আমার মনে হয় 'শী কেম টু স্টে' এর ফ্রাঙ্কোইজ এবং 'দ্যা ম্যান্ডারিনস' এর অ্যান এই দুজনের দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে।

উত্তরে সিমোন বলেন,

এর কারণ হলো সবকিছু সত্ত্বেও নারীরা ভালবাসাতে নিজেকে উজার করে দেয়। এর কারণ বেশিরভাগ নারীর এছাড়া দেবার মত আর কিছু নেই। হয়তো তাদের গভীরভাবে অনুভব করার সামর্থ আছে, অবশ্য এটাই হল ভালোবাসার ভিত্তি। হয়ত পুরুষদের চাইতে নারীদের ভিতর দিয়ে নিজেকে বেশি সহজভাবে দেখাতে পারি। আমার নারী চরিত্ররা আমার পুরুষ চরিত্রের চাইতে অনেক বেশি সমৃদ্ধ।


ইতোপূর্বে প্রকাশিত হওয়া সিমোনের একটি উক্তি-

এখন অবিশ্বাস নিয়ে আমি বিশ্বাসপ্রবণ কৈশোরের দিকে তাকিয়ে দেখি, কীভাবে যে প্রতারিত হয়েছিলাম তা জেনে অবাক হয়ে যাই।


এই প্রসঙ্গে ম্যাডেলিফ গোবেল জানতে চাইলে, সিমোন উত্তর দিতে গিয়ে বলেন-

যখন কেউ আমার মত অস্তিত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে পৃথিবীটাকে দেখে, তাহলে দেখবে যে মানুষের জীবন স্ববিরোধীতায় ভর্তি। মানবজীবনের দুর্ভাগ্য এটাই যে কেউ একজন কিছু একটা হওয়ার জন্য চেষ্টা করে, আর দিনশেষে তাদের খুব কম টিকে থাকে। এটা এই ধরনের পার্থক্যের কারণে ঘটে যখন আপনি নিজের অস্তিত্বকে অনিশ্চিত করে তুলবেন। এমন এক উপায়ে, যেভাবে সবসময় পরিকল্পনা করেন, এমনকি এটা নিশ্চিতভাবে জেনে যে নিজের স্বকীয়তা নিয়ে আপনি সফল হতে পারবেন না। পিছু ফিরে যখন ছেড়ে আসা জীবনের দিকে তাকাবেন, তখন আপনার চোখে পড়বে যে আপনি খুব সাধারণভাবে শুধু জীবন নিয়ে টিকে ছিলেন। অন্যভাবে বললে বলা যায় সৃষ্টিকর্তার জীবনের মত আপনার জীবন নিরেট নয়। আপনার জীবন হচ্ছে খুব সাধারণ এক মানুষের জীবন।


সিমোনকে সবচাইতে বেশি আকর্ষণ করে সেই ধরনের নারী, যারা সৎ এবং স্বাধীন; যারা কাজ করে ও সৃষ্টি করে। তিনি উল্লেখ করেন-

চল্লিশের পরে হঠাৎ করে আবিষ্কার করলাম যে পৃথিবী এখন আপনার দিকে নতুন চোখে তাকাতে শুরু করে। এতে বেশ উৎসাহ ও বৈচিত্র্য অনুভব করেছিলাম।


বইটির শেষে সিমোনের বাছাইকৃত অর্ধশতাধিকেরও বেশি উক্তি স্থান পেয়েছে। একেবারে শেষে গ্রন্থপঞ্জী এবং পাঠপঞ্জীর উল্লেখ রয়েছে। বইটির লেখক সুশান্ত বর্মণ তার কন্যাদের উৎসর্গ করেছেন। উৎসর্গপত্রের পরে, একেবারে শুরুতে, সূচীপত্রের আগে সিমোন দ্য বোভোয়ার ও জ্যাঁ পল সার্ত্রের ১৯৩৯ সালে বালজাক-এর স্মৃতিসৌধের সামনে তোলা একটি সাদাকালো ছবি সংযুক্ত করা আছে। সবমিলিয়ে সিমোন দ্য বোভোয়ারকে জানার জন্য, নিজের চিন্তাশক্তিকে শাণিত করার ক্ষেত্রে এবং নারীবাদ সম্পর্কে অনুসন্ধিৎষ্ণু পাঠকের তৃষ্ণা নিবারণে বইটি দারুণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।


**********
সিমোন দ্য বোভোয়ার
রচনা, সংকলন ও ভাষান্তর: সুশান্ত বর্মণ

প্রথম প্রকাশ: অমর একুশে বইমেলা ২০২৩
প্রকাশক: মাহদী আনাম (ঘাসফুল, ঢাকা)
প্রচ্ছদ: রাজীব দত্ত
মুদ্রিত মূল্য: ৩৫০৳
পৃষ্ঠা: ১১২
ISBN: 978-984-35-3472-9

মতামত:_

1 মন্তব্যসমূহ

  1. ‘কেউ নারী হয়ে জন্মায় না, বরং নারী হয়ে ওঠে’- খুব সত্যি কথা। বিশেষ করে বাংলাদেশের সমাজে।

    উত্তরমুছুন

মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম